আলুতে ৩৫ লাখ টাকা লোকসানের আশঙ্কায় বগুড়ায় হৃদরোগে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার:বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মজুদ করা আলুর বাজার মূল্য অস্বাভাবিক কমে যাওয়ায় লোকসানের আশঙ্কায় আবদুল বারিক মন্ডল (৩০) নামে এক ব্যবসায়ী হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রবিবার বিকেলে উপজেলার মোকামতলা বাজারে আরএনআর পটেটো কোল্ড স্টোরেজ হিমাগারে এ ঘটনা ঘটে। আবদুল বারিক মন্ডল উপজেলার শিবগঞ্জ ইউনিয়নের এরুলিয়াপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম মন্ডলের ছেলে।নিহতরে চাচা শীষ মাহমুদ জানান, কয়েক মাস আগে চলতি মৌসুমে আবদুল বারিক মন্ডল নামে-বেনামে পাঁচ হাজার বস্ত ৫ হাজার বস্তা পাকরি ও এরিস্টিক আলু কিনে মোকামতলা বাজার এলাকার আরএনআর পটেটো কোল্ড স্টোরেজ হিমাগারে সংরক্ষণ করেন।তিনি প্রতি বস্তা আলু ১ হাজার ২শ টাকা দামে ক্রয় করেছেন। তৎকালীন সময়ে যার মূল্য ছিল ৬০ লক্ষাধিক টাকা। কিন্তু বর্তমানে সেই আলুর বাজার দাম নেমে গেছে অনেক। ৫ হাজার বস্ত আলুর বর্তমান বাজার মুল্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা হবে। এতে করে তার লোকসান হবে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা।তিনি বলেন, আবদুল বারিক রবিবার বিকেলে মোকামতলা হিমাগারে গিয়ে আলুর দামদর শুনছিলেন। বর্তমানে আলুর বাজার কমে যাওয়ায় সে চিন্তিত হয়ে পড়েন। এমন সময় হঠাৎ করেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।নিহত আবদুল বারিকের স্ত্রী মুন্নী বেগম বলেন, আমার স্বামী একজন সফল আলু ব্যবসায়ী ছিলেন। এবারও অনেক আলু সংরক্ষণ করেন। কিন্তু হঠাৎ করে স্ট্রোক করে মারা গেছেন তিনি।মোকামতলা আরএনআর পটেটো কোল্ড স্টোরের ব্যবস্থাপক আলা উদ্দিন আল মামুন বলেন, বারিক মন্ডল একজন সফল আলু ব্যবসায়ী। সে অন্য নামে এখানে আলু রেখেছেন। তার অকাল মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ সাবু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রোববার রাতে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।শিবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, মৃত ব্যক্তি সর্ম্পকে বগুড়ার সদর থানা থেকে এক র্বার্তায় বিস্তারিত জানতে চেয়েছে। এই বিষয়ে মোকামতলা তদন্ত কেন্দ্রকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

 

সর্বশেষ সংবাদ