বগুড়া’র রুপা ইডেন কলেজ নেত্রী ,দল থেকে অব্যাহতি

স্টাফ রিপোর্টার:প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার নারী ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেত্রী মাহবুবা নাসরিন রূপাকে দলীয় পদ ও সংগঠনের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে সংগঠন থেকে বহিস্কারেরও সুপারিশ করা হয়েছে। রোববার বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু এ তথ্য জানিয়েছেন।এদিকে রূপাসহ তার চক্রের ১০ জনকে দুই দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। জনপ্রতিনিধি হয়েও বছর তিনেক ধরে সরকারি-বেসরকারি অন্তত আট প্রতিষ্ঠানের প্রশ্ন ফাঁসে এই চক্র জড়িত। তবে ছাত্রজীবন থেকেই অপরাধে হাতেখড়ি রূপার। রূপার অপরাধ জীবন যেন এক রূপকথার! ইডেন কলেজের ছাত্রলীগ নেত্রী থাকাকালে সিট বাণিজ্য ও ছাত্রী নিপীড়নের মতো ঘটনায় তার সংশ্নিষ্টতার অভিযোগ মিলেছে। এ ছাড়া দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে নানা ধরনের তদবির বাণিজ্যও করতেন তিনি। সরকারদলীয় প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলে করতেন রকমারি দেন-দরবার। রাজনৈতিক পরিচয়, প্রভাব ও অপরাধ চক্রে জড়িয়ে দ্রুত টাকা কামাতে চেয়েছেন রূপা। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সু-সম্পর্কের কারণে দ্রুত বগুড়ার রাজনীতিতেও জায়গা করে নেন তিনি।মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ডিবির গুলশান বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, প্রশ্নফাঁস চক্রের সক্রিয় সদস্য হিসেবে আরও পাঁচ থেকে ছয়জনের নাম পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেপ্তারে একাধিক জায়গায় অভিযানও চলছে। তবে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে দুই মিনিটের মধ্যে তারা প্রশ্ন ফাঁস করতেন-এটা আমাদের বিস্মিত করেছে। কানের ভেতর ছোট্ট ডিভাইস এমনভাবে রাখা হতো, যা বাইরে থেকে বোঝার কোনো উপায় ছিল না। ফাঁসকারী চক্রের সদস্যরা পরীক্ষার্থী সেজে হলে ঢুকে বিশেষ আরেক ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র হলের বাইরে চক্রের সদস্যদের কাছে পাঠাতেন। পরে প্রশ্ন সমাধান করে হলের ভেতরে পৌঁছে দিতেন।
তদন্ত-সংশ্নিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তার ১০ জনের বাইরে চক্রের আরও যাদের নাম আসছে, তাদের মধ্যে একজন রেলওয়ের কর্মচারীও রয়েছেন। এমনকি সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) এক কর্মচারীর নাম পাওয়া গেছে। এ ছাড়া খলিল নামে একজন এই সিন্ডিকেটে যুক্ত। খলিল একটি প্রতিষ্ঠানের চাকরিচ্যুত কর্মী। গত শুক্রবার প্রতিরক্ষা মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ে অডিটর নিয়োগ পরীক্ষা ছিল। ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে রূপাসহ অন্যদের ওইদিনই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তার অন্য ৯ জন হিসাব মহানিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের বরখাস্ত সহকারী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান আজাদ, আল আমিন রনি, নোমান সিদ্দিকী, নাহিদ হাসান, তানজির আহমেদ, শহীদ উল্লাহ, রাজু আহমেদ, রাকিবুল হাসান ও হাসিবুল হাসান।রূপার উত্থান ঃ মাহবুবা নাসরিন রূপা তার নিজ এলাকায় ‘ভাল মেয়ে’ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। তবে শুক্রবার টেলিভিশনে গ্রেফতারের খবর দেখার পর নিজ গ্রাম দুপচাঁচিয়ার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ভুঁইপুরে তাকে নিয়ে নানা ধরনের কানা-ঘুষা শুরু হয়েছে।স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের একটি পক্ষ মাহবুবা নাসরিন রূপার গ্রেফতারের ঘটনায় হতাশ। আওয়ামী লীগের অপর একটি অংশের নেতারা মাহবুবা নাসরীনকে ‘উচ্চাভিলাষী’ আখ্যায়িত করে বলছেন, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হওয়ায় তার মধ্যে এক ধরনের দাম্ভিকতা তৈরি হয়েছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেছেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রভাব কাজে লাগিয়ে মাহবুবা নাসরিন হঠাৎ করেই বগুড়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ বাগিয়ে নেন। সে রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে দ্রুত ধনী হতে চেয়েছিলেন। এতে যা হওয়ার তাই-ই হয়েছে।’বগুড়া শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে গতকাল রবিবার দুপুরে ভুঁইপুর গ্রামে মাহবুবা নাসরিন রূপাদের বাড়িতে গিয়ে বেবী খাতুন নামে তার এক ফুফুর দেখা মেলে। অনেক পুরানো মাটির তৈরি দোতলা ওই বাড়িতে তিনি ছাড়াও আরেক নারী বসবাস করেন। মানসিকভাবে কিছুটা অপ্রকৃতিস্থ বেবী খাতুন জানান, সেখানে রূপারা কেউ থাকেন না। রূপার সম্পর্কে তথ্য জানার জন্য তিনি ৩ কিলোমিটার দূরে গোবিন্দপুর বাজারের পেছনে তার ভাইয়ের (রূপার বড় চাচা) বাড়িতে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। তার সঙ্গে কথা বলার সময় স্থানীয়রা জানান, রূপাকে তারা চিনতেন না। ২০১৯ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার জন্য যখন আসে তখন তারা জানতে পারেন মেয়েটি এই গ্রামের বাসিন্দা। রূপার গ্রেফতারের খবরে হতাশা প্রকাশ করে স্থানীয় একজন বলেন, ‘রূপা তো এখানে থাকে না। বেশিরভাগ সময় ঢাকাতেই থাকে। অত্যন্ত বিনয়ী রূপাকে তো আমরা ভাল মেয়ে হিসেবেই জানি। সর্বশেষ গত ৫ জানুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগে সে একবার গ্রামে এসেছিল। কাল রাতে টেলিভিশনের খবরে দেখলাম সে প্রশ্ন ফাঁস চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এটা আমাদের হতাশ করেছে।’ তখন পাশে থাকা আরেকজন বলে উঠলেন, ‘মাত্র ৩ বছরেই কি একজন মানুষের সব জানা যায়! এই ঘটনায় আমাদের গ্রামতথা দুপচাঁচিয়া উপজেলার মান সম্মান নষ্ট হয়েছে।’গোবিন্দপুর বাজারের পেছনে একটি চাতালের (ধান সেদ্ধ করে চাল তৈরি করা হয়) অদূরে টিনশেডের বাড়িতে নক করতেই বেড়িয়ে আসেন রূপার বড় চাচা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন। তিনি জানান, রূপা তার ছোট ভাই আতোয়ার হোসনের ৩ সন্তানের মধ্যে সবার বড়। রূপার ছোট ছোট বোন শিউলির বিয়ে হয়েছে এবং রাকিবুল হাসান রকি নামে তার আর এক ভাই ঢাকায় পড়ালেখা করে। দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার ছোট ভাই আতোয়ার হোসেন ১৯৮০ সালের আগে গ্রাম ছেড়েছে। প্রথমে সে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা সদরে পানের দোকান দেয়। সেখানেই রূপার জন্ম হয় এবং ওখানকার একটি প্রাইমারী স্কুলে সে ক্লাস থ্রি পর্যন্ত পড়ালেখা করে। এরপর আমার ভাই তার পরিবারকে নিয়ে ঢাকায় চলে যায়। রাজধানীতে গিয়ে সে আজিমপুর গালর্স হাইস্কুলে নৈশপ্রহরীর চাকরি নেয়। সেখানেই অপর দুই সন্তানের জন্ম হয়। সকলেই ঢাকায় পড়ালেখা করে। রূপা ঢাকার ইডেন কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স করেছে। তিনি বলেন, ‘প্রায় পাঁচ বছর আগে রূপার মা আঞ্জুয়ারা মৃত্যু বরণ করে। আর ৩ বছর আগে রূপা দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে আসে। তবে দীর্ঘদিন গ্রামের সঙ্গে তার যোগাযোগ না থাকলেও এলাকাবাসী তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে। নির্বাচনের ৫দিনের মাথায় তার বাবার মৃত্যু হয়।’রূপার গ্রেফতারের খবরে কষ্ট পাওয়ার কথা জানিয়ে তার বড় চাচা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগে রূপা গ্রামে এসেছিল। তখন সে বলছিল তার নিয়োগ পরীক্ষা আছে। আমরা জানতাম সে একটা চাকরির চেষ্টা করছে। কিন্তু কিভাবে এই ঘটনা ঘটলো সেটা আমরা বুঝতে পারছি না।’গোবিন্দপুর ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন মল্লিক জানান, উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর রূপা তার কাছে আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগে রূপা আমাকে ফোন করেছিল। সে জানতে চেয়েছিল চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন আমার দরকার কি’না? উত্তরে আমি বলেছিলাম না, আমি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতে চাই।’গোবিন্দপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম পলাশ গ্রেফতার মাহবুবা নাসরিন রূপাকে ‘ভাল বক্তা’ উল্লেখ করে বলেন, দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। রূপা যখন উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয় তখন এলাকার ৫জন মানুষও তাকে চিনতো না। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারকালে ভাল বক্তব্য দিয়ে সে এলাকাবাসীর মন জয় করেছিল। দুপচাঁচিয়া উপজেলা যুবলীগের সাবেক নেতা আব্দুল মোত্তালেব বলেন, ‘আমরা রূপাকে বিয়ের পিঁড়িতে বসার জন্য বলছিলাম। কিন্তু সে বলছিল আগে চাকরি যোগাড় করবে তারপর বিয়ে করবে। আমার মনে হয় রূপা নিজে চাকরি নেওয়ার পাশাপাশি অন্যদের সহযোগিতা করতে গিয়ে হয়তো ফেঁসে গেছে।’তবে দুপচাঁচিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোমিনুর রহমান পলাশের অভিযোগ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হওয়ায় মাহবুবা নাসরিন রূপার মধ্যে এক ধরনের দাম্ভিকতা সৃষ্টি হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আমাদের দল থেকে অন্য একজন প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রের প্রভাবের কারণে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা রূপার পক্ষে প্রচারে নামে এবং তাকে বিজয়ী করে। নির্বাচনের পর পরই তিনি বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হন এবং পদাধিকার বলে তিনি দুপচাঁচিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগেরও সদস্য হন। কিন্তু তিনি দলীয় কর্মকান্ডে নিয়মিত অংশ নিতেন না। সর্বশেষ গত ১৫ আগস্ট তিনি দলীয় কর্মসূচীতে অংশ নিয়েছিলেন। সেদিন তিনি আমিসহ দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে বেশ উচ্চ-বাচ্য করেছিলেন।’সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, রূপা ২০০৮-০৯ সেশনে ভর্তি হন ইডেন মহিলা কলেজে। ভর্তি হওয়ার কিছুদিন পরই তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়ান। থাকতেন ইডেনের রাজিয়া হলে। হলের বেশ কয়েকটি কক্ষ নিজের দখলে রাখতেন তিনি। রূপা পর্যায়ক্রমে ইডেন মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক, যুগ্ম আহ্বায়ক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্র রাজনীতি করার সুবাদে তিনি ইডেনের হলের সিট বাণিজ্যে নামেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের নাম ভাঙিয়ে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে তদবির করার কারণে তিনি অনেকের কাছে ‘তদবিরকারী নেত্রী’ হিসেবে পরিচিত। এক সময় জড়িয়ে পড়েন সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস চক্রে।বগুড়ার রাজনীতিতে যেভাবে এলেন: বগুড়ার আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৮ সালে বগুড়া-৩ আসনে ১৪ দলের পক্ষে জাতীয় পার্টির নেতা নুরুল ইসলাম তালুকদার লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করেন। ওই নির্বাচনে ঢাকা থেকে ৬ থেকে ৭ তরুণ-তরুণীকে এলাকায় নিয়ে তালুকদারের পক্ষে প্রচারণায় নামেন রূপা। প্রচারণা চালিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। এরপর থেকে এলাকায় রাজনৈতিক উত্থান শুরু হয় তার। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার আশীর্বাদ নিয়ে ২০১৯ সালের মার্চে দুপচাঁচিয়া উপজেলা নির্বাচনে নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হন তিনি। প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের তার পক্ষে নির্বাচনী কাজে লাগান। ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর প্রভাব খাটিয়ে উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান পদটিও বাগিয়ে নেন। এলাকায় খুব কমই দেখা যায় তাকে। মাঝেমধ্যে আপন ভাই রকিকে নিয়ে এলাকায় গিয়ে থাকেন চাচা দেলোয়ার হোসেনের গোবিন্দপুরের পালিমহেশপুর গ্রামের বাড়িতে।স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রূপা ও তার ভাই রকির দাপট রয়েছে এলাকায়। দুপচাঁচিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্যপদ বাগিয়ে নেওয়ার পর ২০২০ সালে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটির সদস্যও হন রূপা।বগুড়ায় না থাকার পরেও মাহবুবা নাসরিন রূপা কিভাবে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ পেলে এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির বগুড়া জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক আল রাজী জুয়েল বলেন, ‘এই প্রশ্নের উত্তর আমার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়।’

সর্বশেষ সংবাদ