মেরী সমাজ কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে তথ্য অধিকার আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ

বগুড়ায় দুই দিনব্যাপি তথ্য অধিকার আইনের ব্যবহার বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মমালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বগুড়া ওয়াইএমসিএ পলবেসরা অডিটোরিয়ামে আর্টিকেল নাইনটিন দক্ষিণ এশিয়া সহযোগিতায় ও নেদারল্যান্ড দূতাবাস ঢাকার অর্থায়নে মেরী সমাজ কল্যাণ সংস্থা এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।

সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মেহেরুন্নেছা মেরীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া ওয়াইএমসিএ এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যক্ষ রবার্ট রবিন মারান্ডী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জনগণের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার ২০০৯ সালে তথ্য অধিকার আইন প্রনয়ন করেছে। তথ্যে জনগণের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থা ও সুশীল সমাজ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। বর্তমান সময় অবাধ তথ্য প্রবাহের সময়। তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমানে অবাধ তথ্য প্রবাহের স্রোতে আমাদের সবাইকে সামিল হতে হবে। যে যত বেশি তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে জানবে সে তত বেশি উন্নতি করবে।
তাই জনগণের অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে সম্যক ধারনা লাভের কোন বিকল্প নেই।
তিনি আরো বলেন, একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়তে হলে তথ্য অধিকার আইন জানতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে তথ্য অধিকার আইনের কোন বিকল্প নেই। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহনকারীগণ নিজেরা জানবে অন্যকে জানান দিবে। তবেই খুঁজে পাওয়া যাবে এ প্রশিক্ষনের সার্থকতা। এ প্রশিক্ষণটি অবশ্যই মহৎ ও প্রশংসার দাবীদার।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উদায়ন সাবলম্বী সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শাহাদত হোসেন।
প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন আর্টিকেল নাইনটিন ট্রেনিং রিসোর্স পার্সন শামীমা চৌধুরী ও সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আর্টিকেল নাইনটিন দক্ষিণ এশিয়া মরিয়ম শেলী।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তথ্য কি, তথ্য অধিকার আইন কি, তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর উদ্দেশ্য, তথ্য অধিকারের বিষয়বস্তু, আবেদনের প্রেক্ষিতে তথ্য সরবরাহ, যেসব তথ্য প্রকাশ বা প্রদান বাধ্যতামূলক নয়, স্বপ্রণোদিতভাবে যেসব তথ্য প্রকাশ করা যাবে, তথ্য পাওয়ার আবেদন, আবেদন প্রাপ্তির পর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার তথ্য প্রদানে করনীয় বিষয়গুলো স্থান পায়।

কর্মশালায় ১৭ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহন করে।

সর্বশেষ সংবাদ