৯ দফা দাবি বাস্তবায়নে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট বগুড়া জেলা শাখার উদ্যোগে মিছিল ও মানববন্ধন

শ্রমিকদের  রেশন, আবাসন, চিকিৎসা, কর্মজীবী নারীদের শ্রমঘন এলাকায় হোস্টেল নির্মাণ এবং বয়স্ক শ্রমিকদের জন্য পেনশন প্রথা চালুসহ স্কপের ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের দাবিতে-কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশহিসাবে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট  বগুড়া জেলা শাখার উদ্যোগে আজ-২৭ মে ২০২২, শুক্রবার,  বেলা-১১:৩০ টায়, বগুড়ায় সাতমাথায় মিছিল ও মানববন্ধন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট বগুড়া জেলা সভাপতি শ্রমিক নেতা কমরেড সাইফুজ্জামান টুটুল, বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট বগুড়া জেলা সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেশ চন্দ্র দাস মনো, সাংগঠনিক সম্পাদক  আবু রায়হান, দপ্তর সম্পাদক শ্যামল বর্মন,  প্রচার সম্পাদক সানোয়ার বাবু প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।
কমরেড সাইফুজ্জামান টুটুল বলেন, বিগত দুই বছরের করোনা পরিস্থিতিতে  বাংলাদেশের ৬ কোটি ৩৫ লাখ শ্রমিকের জীবনের সমস্যাগুলোকে প্রকট করে তুলেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিশেষ করে খাদ্য, ওষুধ এর মূল্যবৃদ্ধি, বাসা ভাড়া, গাড়ি ভাড়া, সন্তানের শিক্ষার খরচ বৃদ্ধি, শ্রমজীবীদের জীবনে বাড়তি বোঝা বয়ে এনেছে। শ্রমজীবী মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গেলে তা অর্থনীতিতেও বিরুপ প্রভাব সৃষ্টি করবে। তাই শ্রমজীবী মানুষ এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিকাশের স্বার্থে আমরা মনে করি শ্রমজীবীদের জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ প্রয়োজন। তাই আমরা আসন্ন ২০২২-২৩  অর্থবছরের বাজেটে শ্রমজীবীদের  রেশন, আবাসন, চিকিৎসার জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ, কর্মজীবী নারীদের শ্রমঘন এলাকায় হোস্টেল নির্মাণ এবং বয়স্ক শ্রমিকদের জন্য পেনশন প্রথা চালুসহ স্কপের ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে দেশের অর্থনীতিকেই গতিশীল রাখবে।

কমরেড মাসুদ পারভেজ বলেন, চাল, ডাল, তেল, পিয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লামাগহীন উর্ধ্বগতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, করোনা মহামারীকালে মানুষ চাকুরি হারিয়েছে, আয় কমেছে; এমতাবস্থায় আকাশচুম্বী দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে জনজীবনে ব্যাপক দুর্ভোগ নেমে এসেছে। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে চরমভাবে ব্যর্থই শুধু নয়, মুনাফালোভী বাজার সিন্ডিকেটকে প্রশ্রয় ও পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। সমাবেশে গ্রাম-শহরের শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বেসরকারি বাণিজ্য বন্ধ করে রাষ্ট্রীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি, বাজার মনিটরিং জোরদার করা, মুনাফাখোর সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলা, মজুমদার, আড়তদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা, টিসিবি’র পণ্য বিক্রির ট্রাকের সংখ্যা বৃদ্ধি, গ্রাম পর্যন্ত ওএমএস এর বিক্রি সম্প্রসারিত করা, গ্রাম-শহরের শ্রমজীবী জনগণের জন্য আর্মি রেটে পূর্ণাঙ্গ রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবি জানান

সমাবেশে অন্যন্য নেতৃবৃন্দ বলেন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, আবাসন-চিকিৎসা ব্যায়সহ জীবনযাপনের ব্যায় বেড়ে যাওয়ায় শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি কমে যাচ্ছে এবং শ্রমিকদের জীবনমানের মারাত্মক অবনতি হচ্ছে। শ্রমিকদের মজুরির মান ধরে রাখতে এবং তাদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে রেশনিং এর মাধ্যমে নিত্যপণ্য সরবরাহ করতে হবে। নেতৃবৃন্দ আয় বৈষম্য কমিয়ে একটি দীর্ঘস্থায়ী স্থীতিশীল শিল্প সম্পর্ক  গড়ে তোলার জন্য জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণাসহ স্কপের ৯ দফা বাস্তবায়নে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ প্রদানের দাবি  জানান ।

সর্বশেষ সংবাদ