শাজাহানপুরে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম

বগুড়ার শাজাহানপুরে আড়িয়া রহিমাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে অনিয়ম করে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ এনে স্কুলটির সভাপতি, নিয়োগ বোর্ড ও সাবেক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৌফিক আজিজ সহ দুর্নীতির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দায়ের করেছেন শাজাহানপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি জাহিদুল হক আরজু।

অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, উপজেলার নগর শাহ মোজাম্মেল হক উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে আবদুল্লা আল মোনায়েমকে ২০১৬ সালে নিয়োগ দেয়া হলে নিয়োগের বৈধতা চ্যালেন্জ করে অভিযোগ দায়ের করেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মাসুদুর রহমান। এরপর শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে তাকে নিয়োগের প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র সহ শুনানীতে অংশ গ্রহন করার জন্য ডাকা হলে তা দাখিলে ব্যর্থ হন এবং শুনানীতে অংশ না নেয়ায় বিষয়টি তদন্তপুর্বক তার এমপিও সেই সময়েই বাতিল করা হয়। ফলে তিনি প্রধান শিক্ষক পদে ৩ বৎসরের যোগ্যতাহীন ও অভিজ্ঞতাহীন হয়ে পড়েন।

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের প্রবিধান মোতাবেক জানাযায়, প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৩ বৎসর পুর্ব অভিজ্ঞগতা বাধ্যতামুলক। সেক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রনালয় কর্তৃক ঐ বিদ্যালয়ে তার নিয়োগ অবৈধ হলে তিনি বিধান অনুযায়ী পুর্ব অভিজ্ঞতাহীন ও যোগ্যতাহীন হয়েছেন। এসব জেনে শুনেও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৌফিক আজিজ ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে হাত করে আড়িয়া রহিমাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৭ মে- ২০২১ ইং তারিখে আবদুল্লাহ আল মোনায়েমকে অবৈধভাবে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেন।

অভিযোগকারি উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি জাহিদুল হক আরজু বলেন, তৎকালিন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৌফিক আজিজ এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আওরঙ্গজেব অবৈধ লেনদেনে এসব করেছেন। তাই সরকারি বিধান না মেনে এ নিয়োগ দেয়ায় তিনি প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ দিয়েছেন।

একইভাবে আড়িয়া রহিমাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা সদস্য আবু তালেব বলেন, বিদ্যালয়টিতে প্রভাব খাটিয়ে ঘুরেফিরে একবার ভাই আরেকবার বোন সভাপতি হয়ে অনিয়ম করছে।

এসব বিষয়ে আবদুল্লাহ আল মোনায়েমের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব কোন বিষয় না। সব ঠিক হয়ে যাবে। আর তৎকালীন শাজাহানপুর ্উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য তৌফিক আজিজ বলেন, নিয়োগ আমি দেই না। তবে সব বুঝেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আর বর্তমান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুল হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষক পদে অভিজ্ঞতার বিষয়টি বিচারাধীন অবস্থায় আরেক বিদ্যালয়ে ঐ পদেই নিয়োগ দেয়া অবৈধ। তবে এসব বিষয় তদন্তনাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সর্বশেষ সংবাদ