জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০নং গাবতলী ওয়ার্ডে সদস্য পদে ৩প্রার্থীর লড়াই রাত পোহালেই

গাবতলী (বগুড়া) প্রতিনিধি-সোমবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে বগুড়া জেলা পরিষদের নির্বাচন। এই নির্বাচন উপলক্ষে ১০নং গাবতলী ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে তিনজন প্রার্থী মাঠে কাজ করেছেন। প্রার্থীরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাবেক সভাপতি এএইচ আজম খানের ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এআই ফয়সাল খান জনি (টিউবওয়েল মার্কা), জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মুঞ্জুরুল হক মঞ্জু (উটপাখি) ও উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহেল বাকী পাইকার (হাতি)। প্রার্থীরা নিজেদের যে যার যোগ্যতা ও কর্মপরিকল্পনা নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ.আই ফয়সাল খান জনি টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে পুরোদমে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। দুনীতিমুক্ত ও জবাবদিহিতামূলক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন। বিগত জেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি বিশাল ভোটের ব্যবধানে সদস্য নির্বাচিত হয়ে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। গরীব দুখী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সেবা করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন বলে দাবী করেন। ভোটাররাও যোগ্যতা অনুযায়ী তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বেঁচে নিবেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। জেলা পরিষদের সদস্য প্রার্থী এ.আই ফয়সাল খান জনি আরও বলেন, ভোটে নির্বাচিত হলে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে বিগত দিনের ন্যায় গাবতলীবাসীর উন্নয়নে কাজ করে যাবো। সেইসাথে শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করবো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জনপ্রতিনিধি বলেন, গাবতলীবাসীর উন্নয়নে যারা কাজ করেছেন এবং করবেন আমরা তাদেরকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবো। এদিকে অপর দু’জন প্রার্থী জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মুঞ্জুরুল হক মঞ্জু ও উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহেল বাকী পাইকার ব্যাপকভাবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন। তারাও জনপ্রতিনিধিদের মতামতের ভিত্তিতে উন্নয়নমূলক কাজের সুষম বন্টনের মাধ্যমে রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। এই নির্বাচনে মোট ১’শ ৪৬জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন অফিসার রুহুল আমীন বলেন, এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রশাসন গোটা নির্বাচনী এলাকা সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। এছাড়াও পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। নির্বাচনে কার-চুপির কোন সুযোগ নেই।

সর্বশেষ সংবাদ