বগুড়া সদর ৬-আসনে একাদশ সংসদে উপনির্বাচন ভোট আলোচনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

এস এম দৌলত বগুড়া-একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া সদর আসনে ভোটের হ্যাটট্রিক হতে যাচ্ছে, এক সেশনে তিনবার নির্বাচন হওয়ার ইতিহাস এর আগে এখানে কখনো হয়নি। ২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচিত হন। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি শপথ নেননি। ফলে ২০১৯ সালের ২৪শে জুন উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে বগুড়া জেলা বিএনপি’র সাবেক আহ্বায়ক গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ নির্বাচিত হন। সম্প্রতি তিনিও দলীয় সিদ্ধান্তে বিএনপি’র অন্যান্য সংসদ সদস্যদের সঙ্গে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। আবারো আসনটি শূন্য ঘোষণা করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার। ফলে পুনরায় আগামী ১লা ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হতে যাচ্ছে আসনটিতে।

জাতীয় পার্টির নূরুল ইসলাম ওমর মহাজোট থেকে প্রার্থী হচ্ছেন এমন খবর শোনা গেলেও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক  বলেছেন বগুড়া-৬ আসনের প্রার্থী কাকে দেয়া হবে সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কেন্দ্রীয় সম্মেলন শেষে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসবে। এদিকে বগুড়ার প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার আব্দুল মান্নান আকন্দকে নিয়ে আলোচনা চলছে। তিনি নানা কারণে বগুড়ায় আলোচিত। অল্প সময়ের মধ্যে তিনি বগুড়া পৌরসভায় মেয়র পদে এবং জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নিয়ে মাতিয়ে তুলেছিলেন বগুড়ার মাঠ। রাজনৈতিক দলের বাইরে থেকে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে দাঁড়িয়ে ৫৬ হাজার ভোট পেয়ে তাক লাগিয়েছিলেন বগুড়ার রাজনৈতিক বোদ্ধাদের। ওই ভোটে তিনি বিএনপি প্রার্থী রেজাউল করিম বাদশার কাছে পরাজিত হন। পরে জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে খোদ সরকারদলীয় প্রার্থী এবং নেতাকর্মীদের রোষানলে পড়েন তিনি। একটি মামলায় পুরো নির্বাচনকালীন কারাভোগ করতে হয় তাকে। কারাগারে থেকেও সামান্য ব্যবধানে তিনি পরাজয়বরণ করেন। তবে ভোটার এবং সাধারণ মানুষ অনেকটা জোর দিয়ে বলেছেন মান্নান আকন্দ যদি নির্বাচনের মাঠে থাকার সুযোগ পেতো তাহলে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়ে যেতেন। সেই মান্নান অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে আবারো নির্বাচনে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

এ আসনে সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২৪শে জুনের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ ৮৯ হাজার ৭৪২ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার বিপরীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক টি জামান নিকেতা পান ৩২ হাজার ২৯৭ ভোট।
আলোচনায় তুঙ্গে থাকা স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান আকন্দ বলেন, আমি সাধারণ মানুষের এমপি হতে চাই। যারা চলমান গণবিরোধী রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন তারাই আমার শক্তি, তারাই আমার ভোটার। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি এবং স্বতন্ত্র থেকে আসনটিতে আরও বেশ কয়েকজনের নাম ইথারে ভাসছে। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি টি জামান নিকেতা, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, কোষাধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান মিলন, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের বগুড়া জেলা সভাপতি এডভোকেট লাইজিন আরা লিনা। এ ছাড়া জেলা জাতীয় পার্টির বগুড়া জেলার সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম ওমরের নাম শোনা যাচ্ছে।

এদিকে আব্দুল মান্নান আকন্দের পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভাকাক্সক্ষীদের ওয়ালে দেখাচ্ছে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসানুল হক মিনুর নাম। নির্বাচনে তিনি অংশগ্রহণ করবেন কিনা জানতে চাইলে এই অভিনেতা  বলেন, আমি রাজনৈতিক দলের বাইরে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করবো। আমার শুভাকাক্সক্ষী মহলের সঙ্গে কথা বলেছি। আপাতত নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি নিচ্ছি।
কথা হয় বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের বগুড়া জেলা সভাপতি এডভোকেট লাইজিন আরা লিনার সঙ্গে। তিনি জানান, আমি দীর্ঘদিন থেকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সফলভাবে ছাত্র রাজনীতি শেষ করে যুব মহিলা লীগের বগুড়া জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে হাল ধরি এবং ২০০৪ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সফলভাবে দায়িত্ব পালন করি। পরে পুনরায় কাউন্সিলের মাধ্যমে জেলা সভাপতি নির্বাচিত হয়ে এখন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমি শূন্য হয়ে যাওয়া বগুড়া সদর আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে আমি শতভাগ বিজয়ী হবো এবং আওয়ামী

সর্বশেষ সংবাদ