বগুড়ার সোনাতলায় বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ ভাংচুর মারপিট থানায় এজাহার

আবু হেলাল, বগুড়া (সোনাতলা) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সোনাতলায় বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে ভাংচুর, মারপিট করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
থানায় দায়েরকৃত এজাহার ও সরেজমিন সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার মন্ডমালা গ্রামের মোঃ বুলবুল বেপারীর ছেলে মোঃ আব্দুস ছালামের সাথে একই গ্রামের মৃত শফিকুল আকন্দের ছেলে মোঃ ফেরদৌস (ফিরোজ)দের পূর্ব হতে জমি সংক্রান্ত বিরোধসহ মনোমালিন্য চলে আসছিল। এমতাবস্থায়, গত ১৯ জানুয়ারী দুপুর ২টায় বিবাদী মোঃ ফেরদৌস, মোঃ শহিদুল আকন্দের ছেলে মোঃ আব্দুর রহমান, আজিজার আকন্দের ছেলে মোঃ তুহিন মিয়া, মৃত শফিকুল আকন্দের ছেলে নাজু, সাজু মিয়া, আল আমিন, সোহেল মিয়া, মৃত হেলাল আকন্দের ছেলে মোঃ সহিদুল, মৃত ময়েজ আকন্দের ছেলে মোঃ আজিজার রহমান, মোঃ আজিজার আকন্দের ছেলে মোঃ মাফুজার ও মামুন হাতে ধারালো ছোরা, হাসুয়া, দা, বাঁশের লাঠি, লোহার রড, স্টিলের পাইপ ইত্যাদি দেশীয় অংস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আব্দুস সালামদের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে এবং বাড়ি-ঘরে ভাংচুর করতে থাকে। এ সময় আব্দুস সালাম, শাহ আলম বেপারী, শাহ আলম বেপাারীর স্ত্রী আমেনা, ছেলে বুলবুল, বুলবুল বেপারীর স্ত্রী সালেহা আসামীদের বাধা প্রদান করলে ফেরদৌসের নির্দেশে আব্দুর রহমান ছোরা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে বুলবুল বেপারীর মাথায় আঘাত করলে বুলবুল চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। বুলবুলের আর্ত চিৎকারে শাহ আলম, আমেনা ও সালেহা বুলবুলকে রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে আসামীরা সালেহার পরনের কাপড় টানা-হেঁচড়া করে শ্লীলতাহানী করাসহ মারপিট করে রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে বুলবুলকে অজ্ঞান ও শাহ আলম, আমেনা ও সালেহাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করিয়ে দেয়। চিকিৎসাধীন বুলবুলের মাথায় ৬টি সেলাই দেয়া হয়েছে। তার অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় বুলবুলের ছেলে আব্দুস সালাম বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামী করে গতকাল সোনাতলা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ বাবু কুমার সাক্ষাতে বলেন, ঘটনার বিষয়ে মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ সংবাদ