ধুনটে নারী থেকে পুরুষ হলো স্কুলছাত্রী সানজিদা

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ দৈহিক গঠন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে নারী থেকে পুরুষে রুপান্তরিত হয়েছে স্কুল ছাত্রী সানজিদা খাতুন (১৬)। তার নাম রাখা হয়েছে ইসমাইল হোসেন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার ধুনট উপজেলার কালেরপড়া ইউনিয়নের আনারপুর গ্রামে।
সানজিদা খাতুনের বাবা আব্দুল বারী একজন বর্গাচাষী। ছয় সদস্যর পরিবারে তার চারটি মেয়ে। কোন ছেলে সন্তান নেই। সংসারে অভাব অনটন লেগেই থাকতো। চার বোনের মধ্য সানজিদা খাতুন সবার ছোট। সে ধুনট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
নারী থেকে পুরুষে রুপান্তরিত হওয়ায় সানজিদা খাতুন খুব আনন্দিত। সে জানায়, যা কিছু হয়েছে তা আল্লাহর থেকেই হয়েছে। মাস তিনেক আগে থেকে শরীরের পরিবর্তন লক্ষ্য করে। প্রস্রাব করতে নিয়ে তার প্রথম অনুভূতি হয়। এর পর ধীরে ধীরে তার লিঙ্গ পরিবর্তন হতে থাকে। বিষয়টি মা-বাবা ও তিন বোনকে অবহিত করে সানজিদা। প্রায় এক মাস আগে শারীরিক পরিবর্তনের মাধ্যমে পুরুষে রূপান্তরিত হয়। তবে পরিবারের লোকজন এ বিষয়টি প্রকাশ করেনি। এক পর্যায়ে গত রোববার রাতে তার এক নিকট আত্মীয় সানজিদার বাড়িতে বেড়াতে এসে বিষয়টি টের পায়। পরে এ বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করে ওই আত্মীয়। ওই রাত ১০টার দিকে থানা পুলিশ সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
সানজিদা খাতুন আরো জানায়, প্রথমে স্বপ্নের মাধ্যমে জানতে পারে নারী থেকে পুরুষে রুপান্তরিত হওয়ার বিষয়টি। পূর্ণাঙ্গ পুরুষে রূপান্তিরিত না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়টি প্রকাশ করা যাবে না বলে স্বপ্নে তাকে জানানো হয়েছিল। গতকাল সোমবার ভোর থেকে কৌতুহলী হাজার হাজার জনতা সানজিদা খাতুনকে এক নজর দেখার জন্য আব্দুল বারিকের বাড়িতে ভীড় জমায়। তার সহপাঠীরাও হাজির হয় তাকে এক নজর দেখার জন্য। সানজিদার বাবা আব্দুল বারি বলেন, ছেলে সন্তানের আশায় এক এক করে চার কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আল্লাহ আমার মনের আশা পুরন করেছেন। ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ইকবাল হোসেন বলেন, হরমন জনিত কারনে লিঙ্গ পরিবর্তনের ঘটনা ঘটে। শরীরে এ ধরনের উপসর্গ দেখা গেলে অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ পুরুষ কিংবা নারীতে রূপান্তরিত করা যায়।

সর্বশেষ সংবাদ