বাদাম চাষে ঝুঁকে পড়েছে চরাঞ্চলের কৃষক

আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ কম খরচে অধিক লাভের আশায় বাদাম চাষে ঝুঁকে পড়েছে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চলের কৃষকরা। তিস্তার বুকে ধূ-ধূ বালুচরে বাদাম চাষ করছে চরের কৃষকরা। উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর চরাঞ্চল এখন আবাদি জমিতে পরিণত হয়েছে। চরের জমি-জিরাত খুঁয়ে যাওয়া পরিবারগুলো তাদের প্রাণ ফিরে পেয়েছে। স্ত্রী পুত্র পরিজন নিয়ে দিন রাত পরিশ্রম করে চরের জমিতে চাষাবাদ করেছে নানাবিধ ফসলের। চরে উল্লেখ্য যোগ্য ফসল সমূহ হচ্ছে-আলু, পটল, বেগুন, তামাক, ভুট্টা, গম, মরিচ, পিঁয়াজ, রসুন, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু, তোষা পাট, তিশি, বটবটি, বোল কচু, ভেন্ডি, ওঁল কচু, বাদাম ও ইরি বোরো চাষাবাদ। আজ থেকে ৫ বছর আগে চরে বাদামের চাষাবাদ হয়নি। দিনের পর দিন অধিক লাভের আশায় বাদাম চাষে ঝুঁকে পড়েছে কৃষকরা। উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের রিয়াজ মিয়ার চরে গিয়ে দেখা গেছে-বাদামের ব্যাপক চাষাবাদ। কথা হয় বাদাম চাষী আব্দুর রউফ মিয়ার সাথে। তিনি জানান-বালু মাটিতে বাদামের ভাল ফলন হয়। তাই গত দুই বছর ধরে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি বাদাম চাষ করতে শুরু করেছি। গত বছর ১ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করে ৩০ হাজার টাকা লাভ করেছি। এজন্য এ বছর ২ বিঘা জমিতে বাদাম লাগিয়েছি। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে-উপজেলা চরাঞ্চলে চলতি বছর ৬০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ২০ হেক্টর বেশি। বর্তমান প্রতি মণ বাদাম ১ হাজার হতে ১ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাশেদুল ইসলাম জানান-অধিক লাভের আশায় চরাঞ্চলের কৃষকরা বাদাম চাষ করতে শুরু করেছে। বালু মাটি বাদাম চাষের উপযোগি। এ কারণে দিন-দিন চরে বাদাম চাষের পরিমাণ বেড়েই চলছে।

সর্বশেষ সংবাদ