ধ্বংসের পথে তাড়াশের ঐতিহ্যবাহী বেহুলার জীয়নকূপ

এ,এইচ,খোকন চলনবিল প্রতিনিধিঃ১৬’শ শতাব্দীর প্রাচীন লোককাহিনীর নায়িকা বেহুলা সুন্দরীর জন্মস্থান সিরাজগঞ্জের তাড়াশের তৎকালীন নিচানীনগর বর্তমানে বিনসাড়া গ্রামে। বাছো বানিয়ার একমাত্র রূপসী কন্যা ছিল বেহুলা সুন্দরী। ঐতিহ্যবাহী বেহুলার স্মৃতিবিজড়িত  বেহুলার জীয়নকূপ সংস্কারের অভাবে ধ্বংস হতে চলেছে।
জানা যায়, রূপে-গুণের অধিকারিণী বেহুলা সুন্দরীর বাবা বাছো বানিয়ার বাড়ীর পার্শবর্তি  চান্দের বাজার নামে  এক  বড়  বাজার ছিল৷  প্রতি বছরের জ্যৈষ্ঠ মাসে পূর্ণিমার রাত থেকে তিন দিনব্যাপী বিনসাড়ায়(তৎকালীন  নিচানীনগর) বেহুলার চাঁন্দের মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় আসা দর্শনার্থীরা ঐতিহাসিক বেহুলার বাবা বাছো বানিয়া ওরফে সায় সওদাগরের ভগ্ন বাড়ি, জীয়নকূপে মনসা পূজা দেওয়াসহ ডুবন্ত নৌকা ও দুধ পুকুর পরিদর্শন করে থাকেন। এ গ্রামে মাটির নিচে আছে বহু ভূ-সম্পদ।এছাড়াও যে বট গাছের নিচে বসে বেহুলা সময় কাটাতো  সেই বট গাছটি এখনো বিশাল জায়গা জুড়ে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
সতী বেহুলার বাড়িতে আছে বেহুলার জীয়নকূপ। ওই কূপের  মধ্যে আছে আরো চারটি ছোট ছোট কূপ।এই কূপের এক আশ্চর্য ঘটনা শোনা যায়, এককালে এ কূপের পানি কোন লোক  যে  নিয়তে খেতো তার মনোবাসনা পূর্ণ হতো ৷  ওই সময় কোনো অনুষ্ঠানের জন্য থালা বাসন, বাটি, জগ, পাতিলসহ যা প্রয়োজন হত কূপের কাছে গিয়ে চাইলে তা উঠে আসত।কোনো একদিন এক দুষ্টু লোক প্রয়োজন শেষে ওই সব বাসনপত্র ফেরত না দেওয়ায় সেই থেকে কূপ তার আচরণ বদলে ফেলে।
কালের আবর্তে বেহুলার স্মৃতিবিজড়িত জীয়নকূপ সংস্কারের অভাবে ধ্বংস হতে চলেছে ৷তাড়াশের ঐতিহ্যবাহী এই জীয়নকূপ সরকারিভাবে সংরক্ষণ করা এ প্রয়োজন।

সর্বশেষ সংবাদ