কালাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সাত বছরেও চালু হয়নি

কালাই(জয়পুরহাট)প্রতিনিধি:সাত বছর ধরে বন্ধ রয়েছে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন নির্মাণের কাজ। জমির মূল্য সহ আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দের জনগুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানটি সেই থেকে আর আলোর মুখ দেখছে না।  জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগ জানায়, নীতিমালা অনুযায়ী ভূমি অধিগ্রহণসহ দরপত্রের মাধ্যমে নব্বই ভাগ নির্মাণ কাজ সম্পন্নও হয় ২০১০ সালে ।  অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে, কালাই উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন নির্মাণে ওই থানার থুপসারা মৌজার ৩৮৬ দাগে ৩৩ শতক জমি অধিগ্রহণ করা হয় ২০০৬ সালের ২৭ মার্চ। জায়গার মূল্য নির্ধারিত হয় ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৬৮ টাকা। ২০০৭ সালের ৫ নভেম্বর সরকারের সংশ্লিষ্ট ফান্ডে জমির টাকা জমা করার পর দখলও বুঝে পায় সিভিল ডিফেন্স বিভাগ। কিন্তু মূল্য কম হওয়ায় সেই টাকা গ্রহণ না করে প্রতি শতক জায়গার মূল্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করে জমির মালিক মনোয়ারা বেগম জয়পুরহাট জেলা জজ আদালতে মামলা করেন। মামলা নম্বর: এলএ ৪/২০০৬-২০০৭। এদিকে জমি অধিগ্রহণের পর এটি নির্মাণ বাবদ বরাদ্দ মেলে ৭১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৪৪ টাকা। দরপত্র অনুযায়ী জয়পুরহাটের মেসার্স প্রগতি নির্মাণ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ফায়ার স্টেশন নির্মাণ শুরু করেন ২০০৯ সালের ১৪ জুন। যা শেষ হওয়ার কথা ২০১০ সালের ১৪ জুনের মধ্যে। সে লক্ষ্যে প্রায় নব্বই ভাগ কাজ সম্পন্নের পর জমি মালিকের জামাতা মোজাফ্ফর হোসেন জমিটি তার নিজস্ব সংস্থার নামে লিখা আছে দাবি করে ফায়ার স্টেশন নির্মাণ বন্ধে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট ৪ কর্মকর্তাকে বিবাদী করে উচ্চ আদালতে রীট করেন। যার নং ৪৫২৩/২০১০। যার প্রেক্ষিতে আদালত ২০১০ সালের ৬ জুন ৩ মাসের স্থগিতাদেশ দিলে ২০১০ সালের ২৩ আগস্ট তারিখে জেলা প্রশাসক কাজটি বন্ধের নির্দেশ দেন। সে আদেশেই কালাই উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের নির্মাণর প্রায় সাত বছর ধরে বন্ধ থাকে। কিন্তু ওই স্থগিতাদেশের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হওয়ায় এবং নতুন করে আর কোন আদেশ না হওয়ায় বাঁকী কাজ শেষ করতে আর কোন আইনী বাঁধা নাই বলেও জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগ জানান।
জয়পুরহাট গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. হাবিবুল্লাহ জানান, কালাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের নির্মাণ কাজে আর কোন আইনী জটিলতা নাই। তাই অবশিষ্ট বাঁকী কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যেই শেষ হবে। জেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর উপ-সহকারী পরিচালক মনোরঞ্জন সরকার বলেন, আইনগত যে জটিলতা ছিল, তা নিরসন হয়েছে। ফলে গণপূর্ত বিভাগ আগামী ছয় মাসের মধ্যেই বাঁকী কাজ শেষ করে কালাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটি আমাদের কাছে হস্তান্তর করবেন বলে আমরা আশা করছি।

সর্বশেষ সংবাদ