লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ গত বেশ কিছু দিন ধরেই টানা ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহে বোরো মৌসুমের বীজতলা বিবর্ণ ধারণ করেছে। এই অবস্থায় বোরো চাষাবাদ নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত লালমনিরহাট জেলার কৃষকরা।
ভালো ফসল ফলানোর জন্য পু্ষ্ট বীজ এবংপরিপুষ্ট চারার প্রয়োজন। তাই ভালো ফসলের আশায় বোরো মৌসুমে চাষাবাদের জন্য বীজতলা তৈরি করে পরিচর্যা করছেন কৃষকরা।কিন্তু গত কয়েক দিনের টানা শীত ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে কোথাও কোথাও বীজ অঙ্কুরিত হচ্ছেনা, আবার কোথাও বীজতলা হলুদাভাব এবং বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও চারাগাছগুলি মরতে শুরু করেছে।লালমনিরহাটে হিমবাহ শুরু হয়েছে গত ১৫ ডিসেম্বর থেকেই।আজ থেকে গত দিন গুলোতে সূর্য দেখা দিয়েছে মাত্র ঘণ্টাকয়েকের জন্য যার ফলে কৃষিখাতে উকি দিচ্ছে মহাবিপর্যয় এবং ভীত হয়ে পড়ছেন সাধারণ কৃষকগন।
আদিতমারী উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় কৃষক ইয়াকুব আলী, নুরল হক ও আলম মিয়ার সাথে কথা বলে জানা প্রায় ৫ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষের জন্য উন্নত জাতের ১০ কেজি বীজ দিয়ে বীজতলা তৈরী করেন।চারা গাছগুলো বেশ পুষ্ট হতে থাকলেও, গত কিছু দিনের হীমবাহের কারণে বিবর্ণ হয়ে গেছেতার বীজতলা।বেশকিছু চারাগাছ মারা গেছে।যার দরুণ ৮ বিঘা জমির বোরোর চাষাবাদ হুমকির মুখে। এমতাবস্থায় কৃষিবিভাগের কারোর-ই দেখা মিলছেনা বলে জানান।
আদিতমারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আলী নুর রহমান জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে বীজতলায় কিছুটা সমস্যা হতে পারে। দুই চারদিন রোদ পেলে বোরো বীজতলায় বড় ধরনের কোন সমস্যা হবে না।
লালমনিরহাট কৃষি অধিদফতরের উপ পরিচালক বিদু ভূষন রায় জানান, জেলার ৫টি উপজেলায় বোরো চাষাবাদের জন্য দুই হাজার ৫শত হেক্টর লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও বীজতলা তৈরি হয়েছে দুই হাজার চারশত হেক্টর জমিতে যা চলমান অবস্থায় রয়েছে। শীত বা কুয়াশা কে বোরো বীজতলা রক্ষার জন্য পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখতে হবে অথবা বীজতলায় সেচ দিয়ে চারাগাছের পাতা ও ডগা থেকে কুয়াশার ঠান্ডা পানি ফেলে দিতে কৃষকদের প্রতি পরামর্শ প্রদান করেন তিনি।
Related