দুর্ভোগের আরেক নাম চরডুব্বা সড়ক

আবদুল্লাহ রিয়েল:ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের চরডুব্বা গ্রামের ইসমাইল হাজী বাড়ীর দরজা থেকে কাজিপাড়া পর্যন্ত রাস্তাটির বেহাল দশা। এ রাস্তার আসেপাশে প্রায় ১২০০০ হাজার মানুষের বসবাস। এলাকার জনগনের মতে প্রায় ২০ বছর পর্যন্ত এই রাস্তা পাকা  হবে হবে বলে শুনি কিন্তু হয়না। এই রাস্তায় ১টি প্রাইমারি স্কুল রয়েছে । কোমলমতি শিশুরা স্কুলে যাতায়াতে অনেক দুর্ভোগের সম্মুখীন হয়,বিশেষ করে অসুস্থ্য রোগী নিয়ে হসপিটালে নিতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। এই এলাকার ছাত্রছাত্রী পড়াশুনার জন্য সোনাপুরে, আমীর উদ্দিন মুন্সীর হাট, অথবা মানুমিয়ার বাজার যেতে হয়। এবং প্রতিনিয়ত ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী হাজার হাজার এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থী। জনগনের ভোগান্তির কথা যেন কারও নজরে পড়েনা।
এতে কি ভাবে পড়বে নজরে? কারন তাদেরতো এই রাস্তায় যাতায়াত করতে হয়না। অনেক জায়গাতে ধরনা দিয়েও রাস্তাটির কাজের কোন অগ্রগতি হয়নি। এলাবাসীর রয়েই গেল ভোগান্তি। কি করে পরিত্রান পাওয়া যাবে এই দুর্ভোগ থেকে। কে করবে এলাকাবাসীর পক্ষে কাজ? জনপ্রতিনিধিরা মনে হয়যে অসহায়। নাকি উদাসিনতা?
একজন বৃদ্ধ পথচারী অত্যন্ত দুঃখ করে এই প্রতিবেদককে বলেন, ভাই এমপি, চেয়ারম্যান, মেম্বারতো শুধু ভোটের সময় আসে, এখনতো তাদেরকে আমরা পাইনা কোন কাজে। কেন যে তারা প্রতিনিধি হয়? বুঝিনা। এর আগেও অনেক নামিদামী সাংবাদিক এই রাস্তা নিয়ে লেখালেখি করেছে কোন কাজ হয়নি, মনে হচ্ছে এখনও হবেনা। জনপ্রতিনিধিদের প্রতিশ্রুতি কতটুকু কার্যকর হবে সেটাই এলাকাবাসীর মনে প্রশ্ন। আদোকি সুফল পাবে এই এলাকার জনগন?
এব্যপারে কথা বলতে গেলে ওয়ার্ড়ের মেম্বার শাহীন বলেন, আমি লজ্জিত, দুঃখিত কিছুই করতে পারি নাই। কি ভাবে করবো আমার ক্ষমতা সীমিত, তার মধ্যে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। আরো দুঃখিত যে এই রাস্তাটি, সাবেক ৩ বারের এমপি মরহুম মোশারফ হোসেন এর বাড়ী থেকে পশ্চিম দক্ষিনে,বর্তমান এমপি হাজী রহিম উল্যাহর বাড়ীর ১কি.মি উত্তরে অবস্থিত তাদের ধারে ধারে গিয়েও আমি ব্যর্থ। আরো শুনলে অবাক হবেন যে জেনারেল মাসুদ চৌধুরীরর বাড়ী থেকে আধা কি.মি পূর্বে, বাংলাদেশ যুবলীগের জয়েন্ট সেক্রেটারি মঞ্জুরুল আলম শাহীন ভাইয়ের বাড়ী থেকে মাত্র আধা কি.মি দক্ষিনে, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক হিরণ ভাইয়ের বাড়ী থেকে আধা কি.মি উত্তরে, ২বারের চেয়ারম্যান জহির ভাইয়ের বাড়ীর রাস্তা ও বাড়ী থেকে আধা কি.মি দক্ষিণে, মরহুম এনামুল হক উপসচিব বাড়ীর দরজায় অবস্থিত এই রাস্তা। এত সব ভি.আই.পি কর্মকর্তাদের ধারে ধারে গিয়েও কোন ফল পাইনি। অতএব আপনাদের সবার সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল আলম জহির জানান, এই রাস্তাটি পাকা করণের জন্য ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার শাহীন সহ এলাকাবাসী বহুবার স্থানীয় এমপির নিকট গিয়েছে, ডি ও লেটারের জন্য কিন্তু এমপি ডিও লেটার দেন নাই। অথচ রাস্তাটি এমপি মহোদয়ের বাড়ী থেকে এক কিঃমিঃ এর মধ্যে। যাক এর মধ্যে আমি ফেনী ২ আসনের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী ভাইয়ের মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, আগামী ১ বছরের মধ্যে এই রাস্তাটি (আহম্মদপুর-সোনাপুর সড়ক) পাকা হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ।
ডিও লেটার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এমপি হাজী রহিমুল্লাহ বলেন, শাহিন মেম্বার গত এক বছর আগেই আমার থেকে ডিও লেটার নিয়েছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ