মাগুরায় মায়ের বিরুদ্ধে শিশু কন্যাকে হত্যার অভিযোগ

মাগুরা শহরের হাজী সাহেব রোডের কলেজ পাড়া এলাকায় রবিবার দুপুরে মাহি নামে ৩ বছরের এক শিশু কন্যাকে তার মা হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মায়ের নাম সুফিয়া বেগম (৩৮)। তিনি কলেজ পাড়ার একটি বাড়িতে গত ৩ বছর ধরে ভাড়া থাকেন। দুপুরে হত্যার বিষয়টি প্রতিবেশীরা জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাহির লাশ উদ্ধার করে।

প্রতিবেশী রিপনা বেগমসহ এলাকার বাসিন্দারা জানান, দুপুর ১টার দিকে ভাড়া বাড়ির ৩য় তলা থেকে সুফিয়া তার মেয়ে মাহিকে মৃত অবস্থায় কোলে নিয়ে নিচে আসেন। এ সময় তিনি প্রতিবেশীদের জানান তার মেয়ে মারা গেছে। প্রতিবেশীরা তার দিকে এগিয়ে এলে তিনি দৌড়ে ৩য় তলার ঘরে উঠে যান। পাশাপাশি রান্না ঘরের সিলিন্ডারের গ্যাস লাইনে আগুন লাগিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেন। এলাকাবাসী এ সময় দমকল বাহিনী ও পুলিশকে খবর দিলে দমকল বাহিনী আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনে। সেই সাথে পুলিশ সুফিয়াকে আটক করে মাহির লাশ ঘরের মধ্য থেকে উদ্ধার করে।

প্রতিবেশিরা জানান, দেড় বছর আগে সুফিয়ার দ্বিতীয় স্বামী মনু মিয়ার সাথেও ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। মাহি দ্বিতীয় পক্ষের একমাত্র কন্যা। সুফিয়ার প্রথম স্বামীর নাম আবু তালেব। ওই পক্ষে দু’টি কন্যা সন্তান রয়েছে। তারা আবু তালেবের সঙ্গে ঘটনাস্থলের অদূরে জনৈক আবুল মনসুরের বাড়িতে ভাড়া থাকে। তারা জানায়, মায়ের মানসিক সমস্যা ছিল। কয়েকবার তাকে বলেছি ডাক্তার দেখানোর জন্যে কিন্তু তিনি রাজি হয়নি। মাহি জন্মের পর থেকেই আমাদের কাছে থেকে মানুষ। সকালে ওকে আমরা নিয়ে যেতাম আর রাতে দিয়ে যেতাম। ওকে এ ভাবে মেরে ফেলবে আমরা কখনো বুঝতে পারিনি।

অভিযুক্ত সুফিয়ার সাথে কথা বললে তিনি অকপটে তার মেয়েকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন। তবে তার কথাবার্তায় অনেকটা অসংলগ্নতা ছিল। তিনি জানান, আমি আমার মেয়েকে নিজ হাতে গলা টিপে হত্যা করেছি। আমার শরীর ভাল না, যে কোন সময় মারা যেতে পারি। আমি মারা যাবার পর এই সন্তান যেন কোন পুরুষের লালসার শিকার না হয় সে জন্য আমি ওকে হত্যা করেছি।
ঘটনাস্থলে থাকা মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে সুফিয়া বক্তব্যে জানিয়েছেন তার শিশুকন্যাকে নিজে হত্যা করেছেন। তবে অভিযুক্ত সুফিয়া বেগমকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত চলছে।

সর্বশেষ সংবাদ