এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে কেউ আক্র্যান্ত হয়নি

লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাট জেলায় এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে কেউ আক্র্যান্ত হয়নি। করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) -এর কারণে রোববার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত ৯২ জন  হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন এবং এর মধ্যে ১ জন রয়েছেন প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জেলার সীমান্তবর্তী পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
জনসাধারণের কাছে এখনো করোনার আতঙ্ক কিছুটা বিরাজ করছে । তবে এখনো সতেচনতা কিছুটা কম। জেলার হাট-বাজার এবং রাস্তাঘাটে স্বাভাবিক এর চেয়ে কম লোকজন দেখা যাচ্ছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে বাজার কিছুটা উর্ধ্বগতি। হ্যান্ডসেনিটাইজার, মাস্ক, মসলা জাতীয় পণ্য এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কিছুটা বেশী৷
লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মলেন্দু রায় জানান, জেলার প্রত্যকটি উপজেলায় মেডিকেল টিম কাজ করছে। হোম কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ড,আইসোলেসন ওয়ার্ড এবং রেপিড রেসপন্স মেডিকেল টিম আছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী চলছে সব কার্যক্রম। যখন যে রকম নির্দেশনা এসেছে ঠিক ঐভাবে কাজ করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আজকে একটি নির্দেশনা এসেছে। সেই অনুযায়ী  নতুন একটি টিম গঠন করা হচ্ছে। সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে ১০ জন মেডিকেল অফিসার ৪ জন স্যাকমো,নার্সসহ টিমটি আগামীকাল থেকেই পুরো জেলাতে কাজ করবে। লালমনিরহাটে কোথাও কোন রোগী আছে কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে সিএনআইকে জানান, এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্র্যান্ত হয়েছে এমন কোন  রোগী সনাক্ত হয়নি।
জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, সবাইকে সচেতন  করতে হবে। বিদেশ ফেরত ব্যক্তিরা কমপক্ষে ১৪ দিন ঘরে থাকেন। তিনি জেলা প্রশাসনের সব মিটিং স্থগিত করেছেন। তিনি জন সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য জেলার বিভিন্ন জায়গায় লিফলেট বিতরণ করেন। ফেসবুকে জরুরি নির্দেশনা নিয়মিত প্রচার করছেন। এদিকে বুড়িমারী স্থলবন্দরে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত আমদানীরপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং জেলা জুড়ে বাজার মনিটরিং-এর জন্য মোবাই কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে বলে জানান।
এছাড়াও জেলার সবাইকে সচেতনতা ও সতর্কতা করার লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন ,থানাপুলিশ, জেলা পুলিশ সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণ মাস্ক বিতরণ, হাতধোয়া কর্মসুচি পালন করা এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে বলা হচ্ছে।

সর্বশেষ সংবাদ