হাতীবান্ধায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলা ও লুটপাট

লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্দা উপজেলার দইখাওয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই পরিবারে শিশু, প্রতিবন্ধী, মহিলা সহ দুই ভাইকে পিটিয়ে জখম এবং লুটপাটের অভিযোগ নাফিস বাহিনীর বিরুদ্ধে।

জানাগেছে গত ৩১ শে মে রোজ রবিবার সময় দুপুর ৩. ঘটিকায় সময় দইখাওয়া গ্রামের মৃত ইয়াজ উদ্দিনের ছেলে ফয়জার আলী নিজ চাতালে ধান শুকাচ্ছিলো। চাতালের পাশে নাফিস উদ্দিন ময়নাদের বাঁশঝারের ছায়ার কারনে চাতালে ধান শুকাতে সমস্যা হচ্ছিলো।

ফয়জার আলী বাঁশের ছায়ার কথা নাফিসের পরিবারকে জানায় এবং ১টি বাঁশ কেটে নেয়ার অনুরোধ জানায়। বাঁশ কাঁটাকে কেন্দ্র করে উভয়য়ের মধ্যে কথা কাটা-কাটির একপর্যায়ে নাফিস-ফয়জারকে ধাওয়া করে। ফয়জার দৌড় দিয়ে নিজ বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়।

পরে নাফিস উদ্দিন ময়না, তোজামউদ্দিন, লোকমান হোসেন, লুৎফর হোসেন, আরিফ মোল্লা, মামুন মিয়া, আঃকরীম, শাহিনুর, মোসলেম, ইমদাদুল হক, আঃ লতিফ, আব্বাস আলী, আঃ রাজ্জাক, নজির উদ্দিন ধলু, মন্জেলা বেগম, নিলি বেওয়া, কোহিনুর, রেজিয়া বেগম, শাহিনা, মুক্তা বেগম,সহ আরো অনেকে ফয়জারের বাড়িতে লাঠি-শোটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী কোপানো ও পেটানো শুরু করে।

মারামারির একপর্যায়ে ফয়জার সহ ফয়জারের পরিবারের সবাই যখন বেগুশ হয়ে পড়ে তখন ফয়জারের একজন প্রতিবন্ধী ভাই নাফিস উদ্দিন ময়ন ’র পা ধরে অনুরোধ করে বলেন “ ভাই আর মারেন না, সবাই মরে যাবে”। নাফিস উদ্দিন ময়না বাহিনী প্রতিবন্ধীর অনুরোধতো রাখেনেনী বরং তাকে পেটাতে পেটাতে অজ্ঞান করে এবং যাওয়ার সময় ফয়জারের ৫ বছরের ছেলেকে পা ধরে আচার মারে ।

তাতেও মন ভরেনি নাফিস বাহিনীর । পরে হামলা চালায় ফয়জারের বসত বাড়িতে। বাড়িঘর ভাংচুর যাওয়ার সময় – ফয়জারের ব্যবসায় ধান, ভুট্টা কেনার জন্য ব্যাংক থেকে উত্তোলন করা নগদ টাকা ৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা সিন্ধুক ভেঙে লুটপাট করে, আলমারিতে রাখা গলার সোনার চেন, হাতের চুরি, কানের ঝুমকা ২ সেট ২ ভরি নিয়ে যায়, যার বর্তমান আনুমানিক বাজার মূল্য ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা।

ফয়জারের পরিবার কে হামলার সময় আল্লাহু আকবার বলে হামলা চালায়। হামলা কারীরা জামাত শিবিবের নেতা কর্মী বলে এলাকাবাসি জানিয়েছেন । উল্লেখ্য যে,নাফিসের পরিবারের কেউ কেউ শিবিরের প্রশিক্ষণ নিয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন ।

এলাকা বাসী এই হামলা তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বর্তমানে আহতরা হাতীবান্ধা মেডিকেল ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হাতীবান্ধা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।এলাকাবাসী এই বর্বরোচিত হামলার ন্যায় বিচার দাবি করেছেন।

সর্বশেষ সংবাদ