এস সুজন রায়, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাট জেলার অাদিতমারী উপজেলায় উপজেলা প্রাণি-সম্পদ অফিসের তিনতলায় একটি ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। কাজটি খামারবাড়ি প্রকল্পের আওতায়ধীন। কতৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে অতি নিম্ন মানের নির্মান সামগ্রী দিয়েই কাজ করা হচ্ছে।
একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রুবেল এন্টারপ্রাইজ কাজটি করছেন। সাদ্দাম হোসেন নামের একজনের সাথে কথা হয়। সাদ্দাম হোসেন নিজেকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের উপসহকারী প্রকৌশলী বলে নিজের পরিচয় দেন।
সাদ্দাম বলেন,” কাজটি রুপালি এন্টারপ্রাইজের।খামারবাড়ি প্রজেক্টের”। তার কাছে কার্যাদেশ দেখতে চাইলে বলেন,কার্যাদেশ নাই। কার্যাদেশ ঢাকা অফিসে অাছে। “ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ফোন নম্বর চাওয়া হলেও দিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে অাদিতমারীতে ইটের শঙ্কট। এই ইট এক নম্বর কিনা তার জানা নেই। তারপরও এই ইটকে এক নম্বর ইট বলতেই হবে। এগুলো দেখাশোনা করার দায়িত্ব উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা এবং জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার।
স্থানীয় অাজিজুল হক জানান, এই ইট ৪ নম্বর।নামপ্রকাশে অনিচ্ছিক অফিসের স্টাফরাও একই কথা বলেন।
কাজের শ্রমিকরা বলছেন,”কম্পানি যা দিবে তাই দিয়ে কাজ করতে হবে। অামাদের করার কিছু নেই।
এর পরে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ার সুমনের সাথে কথা হয়। অামি এক নম্বর ইট কিনেছি। ইট বিক্রেতা অামাকে ঠঁকিয়েছে। তাই এসব ইট দিয়েই কাজ করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকতা ডাঃ মোঃ মোশারফ হোসেন তৎক্ষণাত কাজ বন্ধ করে দিয়ে বলেন, এই ইটের মান নিম্ন মানের।তাই এই কাজ বন্ধ থাকবে। সবাই ইট গুলোকে নিম্নমানের বলছে। ইট পরিবর্তন না করলে কাজ হবেনা। কিন্তু পরে তিনিও ঐ ঠিকাদারের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। ঠিকই ঐ ইট গুলো দিয়েই কাজ চলছে।
জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, অামি দুইবার ইট গুলো রিজেক্ট করেছি।তখন ইউএলও এবং ঠিকাদার বললেন”স্যার এখান থেকে কিছু ইট কাজে লাগাই”। অামি বলেছি সব ইট ফেরৎ দেয়া ভাল হবে। এই ইট দিয়ে কাজ করা যাবেনা। অামি রিজেক্ট করার পরেও যদি তারা না মানে,তাহলে স্থানীয়রা কাজটি নজরদারী করতে পারেন।
তিনি অারো জানান, কেন তারা এই ইট দিয়ে কাজ করবে! এই ইট তো বাজে ইট। অামাদের সব কাজ পিকইট দিয়ে করা হয়েছে। অামাদের প্রজেক্ট ডাইরেকটর খুব ভাল মানুষ।অামাদের কাজ ১০০ % হতে হবে। সরকারের কাজ শতভাগ করতে হবে।
