বরিশালে আবাসিক হোটেলে গণধর্ষণের শিকার কলেজ ছাত্রী, গ্রেপ্তার ৩

বরিশালের এক আবাসিক হোটেলে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কলেজ ছাত্রী। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, সজল কর্মকার (২৫), মো. মিজানুর রহমান জাকির (৫৩), আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার (৫৫)। প্রথম দুজন ধর্ষণের অভিযোগে এবং পরজন তাদের সহযোগিতা করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

গত শনিবার গভীর রাতে নগরীর সাগরদী ব্রিজ এলাকার ‘হোটেল মুন’এ গৌরনদী সরকারি কলেজের এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হন।

বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নুরুল ইসলাম জানান, বরিশালের একটি হোটেলে কলেজ শিক্ষার্থী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। শনিবার গভীর রাতে কলেজ ছাত্রীর চিৎকার টের পেয়ে দুই ব্যক্তি ঘটনা টহল পুলিশকে জানায়। টহল পুলিশ হোটেলে গিয়ে ধর্ষণের শিকার কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে। এসময় সেখান থেকে তিনজনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় গতকাল রোববার নির্যাতনের শিকার ছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আতালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী এলাকার সজল কর্মকারের সঙ্গে বরিশালের গৌরনদীর কলেজ ছাত্রী’র ৫ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো। গত শনিবার বিয়ের কথা বলে ওই কলেজ ছাত্রীকে বরিশালে এনে হোটেল মুনে নিয়ে যায় সজল। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়। বিষয়টি টের পেয়ে হোটেলের অপর বোর্ডার মিজানুর রহমান জাকির হোটেল ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের সহযোগিতায় সজল কর্মকারকে রুম থেকে বের করে দেয়। এরপর ওই কলেজ ছাত্রীকে বোর্ডার মিজানুর রহমান জাকির একাধিক বার ধর্ষণ করেছে। এসময় কলেজ ছাত্রী ডাকচিৎকার দিলে স্থানীয়রা টহল পুলিশে সংবাদ দেয় পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।

 

সর্বশেষ সংবাদ