যশোরে সংশোধনাগারে সংঘর্ষে ৩ কিশোর নিহত

যশোরে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ৩ কিশোর নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে বন্দি কিশোরদের দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকটি হয়। এরই জেরে রড ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। এতে মারাত্মক জখম হয় বেশ কয়েকজন। তাদের উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে নেয়া হলে নাইম হোসেন, পারভেজ, রাসেলসহ ৩ কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

এদিকে, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তবে, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ভেতরে কী হচ্ছে স্পষ্টভাবে তা এখনও জানা যায়নি।

সংশোধনাগারের প্রশিক্ষক মুশফিক জানান, কয়েকদিন আগে সংশোধনাগারে কিশোরদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়। ওই ঘটনার জের ধরে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার পর থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত। বাঁশ, লাঠি-সোটা এবং পরিত্যক্ত জিনিজপত্র নিয়ে তারা সংঘর্ষে জড়ায়। ঘটনার পর নাইম নামে ১৫ বছরের এক কিশোরকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে কর্তৃপক্ষ। এ সময় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালের চিকিৎসক অমিয় দাস জানান, তার গায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তবে কি কারণে মারা গেছে, তা পোস্টমর্টেমের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এ ঘটনার এক ঘণ্টা পর কিশোর সংশোধনাগারের একটা গাড়িতে ১৬/১৭ বছরের আরেক কিশোরকে হাসপাতালে নিয়ে এসে জরুরি বিভাগে ফেলে রেখে দ্রুত চলে যায় গাড়িটি। তাকেও মৃত অবস্থায় পান চিকিৎসকরা।

যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামান কিশোর নাঈমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমি কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছি।

 

সর্বশেষ সংবাদ