বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশে খন্দকার মোশতাকদের স্থান নেই, ফারুক চৌধুরী এমপি

সারোয়ার হোসেনঃ আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে যারা দলের সাথে বেঈমানী করে বিএনপির সাথে হাত মিলিয়ে আওয়ামী লীগ বিরোধী সিন্ডিকেট তৈরি করে ছিলো তাদের কোন ক্ষমা নেই। যারা আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে দল ছেড়ে দলের নেতাকর্মী সমর্থকদের বিপদের মধ্যে ফেলে অন্য দলে শপথ গ্রহন করে যোগদান করে তারাও খন্দকার মোশতাকের ভাই। যেমন আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে দল ছেড়ে দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী সমর্থকদের বিপদের মুখে ফেলে ততকালীন সরকার বিএনপির নেতা শীশ মোহাম্মদের হাত ধরে শহীদ মিনারে ফুল নিয়ে বিএনপিতে যোগদান করেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতা সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান বহিষ্কারকৃত সভাপতি মেয়র গোলাম রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ কামারগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন প্রামানিক। আর যখন বিএনপিকে পরাজিত করে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলো তখন সঙ্গে সঙ্গে বিএনপির খোলস ফেলে নেত্রীর কাছে মাফ সাফ চেয়ে বুনে গেলেন আওয়ামী লীগ। কিন্তু যতই খোলস বদলাক না কেন খন্দকার মোশতাকরা তাদের সম্পর্কে জনসাধারণ বুঝে গেছে তারা রাজনীতি করতে আসেনি তারা রাজনীতিকে পুঁজি করে নিজের উন্নতি করতে এসেছে বলে জানান এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের বেঈমান খন্দকার মোশতাক গোলাম রাব্বানী ও মামুনের কোন স্থান নেই তানোরের মাটিতে। গোলাম রাব্বানী ও মামুনের মত খন্দকার মোশতাকদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে ইনশাআল্লাহ। তারা যতই ষড়যন্ত্র করুক, তাদের সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিড়ে ফেলা হবে খুব অচিরেই। আর তাদের নাটের গুরুকে করা হবে রাজনীতির মাঠ ছাড়া, তাই যত ষড়যন্ত্র করার করে নিক তারা কোন সমস্যা নেই,কারণ দেশের জনগণ খন্দকার মোশতাকের সহযোগী ভাই গোলাম রাব্বানী ও আব্দুল্লাহ আল মামুনের মুখোশ দেখে ফেলেছে বলে ১৫ আগস্টের বিভিন্ন শোক সভা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন, রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরী। এছাড়াও ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজশাহীর তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আগস্ট মাসজুড়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুতে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হচ্ছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খাদেমুন নবী চৌধুরী বাবুর সভাপতিত্বে উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় প্রতিদিন সামাজিক দুরত্ব মেনে শোক সভা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল করা হচ্ছে। সেই সাথে শোক দিবস উপলক্ষে এলাকার বিভিন্ন অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। এতে করে শোক সভাকে ঘিরে এলাকার অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ ও দোয়া মাহফিল দেখে আওয়ামী লীগের একশ্রেণীর দূর্ষকৃত খন্দকার মোশতাকরা আতংকিত হয়ে পড়েছে। যার ফলে তারা এমপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অবান্তর বানোয়াট ভিত্তিহীন উদ্দেশ্য প্রণেদিত মিথ্যাচার চালাচ্ছে।

সর্বশেষ সংবাদ