পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল পৌনে ২ কোটি টাকা

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে এবার রেকর্ড পরিমাণ টাকা পাওয়া গেছে। টাকা ছাড়াও দান হিসেবে অনেক স্বার্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে দানবাক্সে।

শনিবার (২২ আগস্ট) বিকেলে গণনা শেষে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭১ টাকা পাওয়া যায়। এবার ছয় মাস সাতদিন পর মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হলো। ফলে দানবাক্সে পাওয়া গেল ১২ বস্তা টাকা।

মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়।

টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, পাগলা মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে রাব্বি, মাহমুদুল হাসান, উবাইদুর রহমান সাহেল, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা ও রূপালী ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ শাখার কর্মকর্তারা।

কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের অবস্থান। এখানে ইবাদত বন্দেগি করলে বেশি সওয়াব পাওয়া যায় বলে মানুষের বিশ্বাস। রোগ-শোক বা বিপদে মসজিদে মানত করলে মনের বাসনা পূর্ণ হয়। এসব বিশ্বাস থেকে এখানে প্রতিনিয়ত দান খয়রাত করে মানুষ। তিন মাস পর পর খোলা হয় মসজিদের দানবাক্স। প্রতিবারই টাকার পরিমাণ ছাড়িয়ে যায় কোটি টাকা। নানা শ্রেণি-পেশা ও ধর্মের লোকজন এখানে আসেন মানত আদায় করতে।

 

 

সর্বশেষ সংবাদ