সাইফুর রহমান শামীম,, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি।। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের চর বড়ভিটা গ্রামের ওয়াবদা বিলের উপর নির্মান করা ব্রিজটি ভেঙ্গে পানিতে তলিয়ে যায়। দির্ঘদিনের র্পূণ নির্মান না করায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে এলাকা বাঁশি। ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যায় দুপাশের সংয়োগ সড়ক ভেঙ্গে বিছিন্ন হয় । বাঁশের সেতু নির্মান করে দুপাশের সড়কের সাথে সংয়োগ দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয় । পরের বছর বন্যায় পানির স্রোতে কুড়া (গভীর খাল) পড়ে ব্রিজটি পানিতে ডুবে যায়। ড্রামের ভেলা দিয়ে মানুষ প্রথমে পারাপার হত। পরে জেলা পরিষদের আর্থিক সহায়ওতায় বাঁশের সাঁকো নির্মান করা হয়। চর বড়ভিটা, চর বড়লই, চর সারডোব, চর মেখলী সহ চার গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ প্রতিদিনে এই সেতু দিয়ে চলাচল করছে। চর বড়লই নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চর বড়ভিটা, মধ্য চর বড়ভিটা ও মাঝিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এখানে অবস্থিত । অতিরিক্ত লোক চলাচলে ড্রামের উপর বাঁেশর চটি দিয়ে নির্মান করা সাকোটি ইতি মধ্য নড়বড়ে হয়ে গেছে। দুর চারজন একসঙ্গে পার হতে গেলে সাকোটি দুলে উঠে। ভয় ও আতঙ্ক নিয়ে বাধ্যহয়ে অনেকে সাকো পার হতে হচ্ছে। অটো রিক্সা, ও মোটর সাইকেল সহ অনেকে গভীর পানিতে পড়েছেন। কৃষিপণ্য আনানেত্তয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষক। গুরুতর অসুস্থ রোগীকে হাসপাতেলে নিতে স্বজনদের বিড়ঁম্বনায় পড়তে হয়। জরুরী কলে ডাক্তাররাও সেখেনে যেতে চান না। ধরলানদী গ্রামগুলো ভিতর দিয়ে প্রাবাহিত এলাকাটি ভাঙ্গণ প্রবণ হত্তয়ায় ভেঙ্গে যাওয়া ঘরবাড়ী ব্রিজের এপারে নিয়ে আসতে অনেকে বিপদে পড়েছেন । চর কাগজীপাড়া সমজিদের ঈমান ও চর বড়ভিটা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মজিদ মিয়া বলেন ২০১৭ সালের বণ্যার পর গত চার বছরে আমরা দূঃখ দুর্দশায় চলাচল করলেও দীর্ঘদিনে ব্রিজটি নির্মানে কোন ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে বড়ভিটা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান মোঃ খয়বার আলী মিয়া বলেন তলিয়ে যাওয়া ব্রিজের চেয়ে আরো বড় ব্রিজের চাহিদা পত্র উপরে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন হলে ব্রিজটি পুর্নঃ নির্মানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফুলবাড়ীতে ড্রামের উপর বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে চার গ্রামের মানুষ
September 25, 2020
19 Views
You may also like
সর্বশেষ সংবাদ
সারিয়াকান্দিতে থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৫
3 months ago
শোক সংবাদঃ নৈশ্য প্রহরী শাহজাহান আলীর ইন্তেকাল
3 months ago
কাজিটুলা থেকে বৃদ্ধ নিখোঁজ; ১৯ দিনেও মেলেনি খোঁজ
3 months ago