স্বাস্থ্যের ১২ জনকে দুদকে তলব

স্বাস্থ্যের তালিকাভুক্ত ৭৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আরও অবৈধ সম্পদ উৎস ও অর্থ লোপাটের তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন দুদক সচিব। প্রথম দফায় ১২ জনকে তলব ও স্বাস্থ্যের সাবেক কেরানি আবজালকে দ্বিতীয় দফার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে দুদক। সচিব আরও জানান, দুদকের আগের সুপারিশ অনুযায়ী কাজ করলে এ খাতে কমানো যেত দুর্নীতি।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিয়ে অর্থলোপাট, প্রকল্পে জালিয়াতি আর ত্রুটিপূর্ণ মালামাল সরবরাহের মাধ্যমে সরকারের ক্ষতির অভিযোগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আসছে দুর্নীতি দমন কমিশন। গত কয়েক বছরে নানা সুপারিশও দেয় প্রতিষ্ঠানটি। চলতি বছর করোনা সংকটেও জেকেজি, রিজেন্টকাণ্ড, মাস্ক-পিপিই কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

দুদক সূত্র বলছে, এখন পর্যন্ত অনিয়মে ৭৫ জনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এরই অংশ হিসেবে তালিকার ১২ জনকে তলব করে দুদক। প্রথম দিনে চারজনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুদক সচিব জানান, সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিলেই এই দুর্নীতি কমানো যেত।

দুদকের সচিব দিলোয়ার বখত বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে যোগসাজশে অবৈধ অর্থ অর্জন করেছেন। ইতোমধ্যে এসব বিষয়ে দুদক সুপারিশ করেছেন। এগুলো নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আশা করি, এগুলো যদি বাস্তাবায়ন হয়। তাহলে এসব দুর্নীতি কমবে।

অন্যদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেরানী আবজাল হোসেনের অবৈধ সম্পদের মামলায় দ্বিতীয় দফায় সাত দিনের রিমান্ড শুরু করেছে দুদক।

দুদক সূত্র জানায়, স্বাস্থ্যের যেসব কর্মকর্তাকে তলব করা হচ্ছে ,তাদের স্ত্রীদেরও সম্পদের হিসাব নেয়া হবে।

সর্বশেষ সংবাদ