ভারতের মুম্বাইয়ে একটি ক্লিনিকে লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য অস্ত্রোপচার করাতে গিয়ে প্রথম পরিচয় কেরালার আরভ আপ্পুকুট্টান ও সুকন্যা কৃষ্ণার। সেটা তিন বছর আগের কথা। এরপর তাদের বন্ধুত্ব হয়, যা ধীরে ধীরে রূপ নেয় প্রেমে। অবশেষে সব আইনি বাধা পেরিয়ে এখন তারা বিয়ের অপেক্ষায়।
ছেচল্লিশ বছর বয়সী আরভ শারিরীকভাবে নারী হলেও লিঙ্গ পরিবর্তন করে পুরুষ হতে চাইছিলেন। আর ২১ বছর বয়সী সুকন্যা হতে চাইছিলেন পুরুষ। ক্লিনিকের ওয়েটিং রুমে প্রথম দেখা হয় তাদের। সমাজ ও পরিবারের চোখ রাঙানি এড়িয়ে তারা লিঙ্গ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছিলেন। ফলে দু’জনেই মানসিক টানাপোড়েনে ভুগছিলেন। সেখান থেকেই পরস্পরের প্রতি নির্ভরশীলতা।
আরভ বলেন, অস্ত্রোপচারের জন্য আমাদের নিয়মিত ক্লিনিকে যেতে হতো। সেখানেই আলাপের এক পর্যায়ে আমরা একে অপরকে পছন্দ করতে শুরু করি। আইনগতভাবেই বিয়ে করতে চান আরভ ও সুকন্যা। তার আগে অনেক আইনি বাধা পেরোতে হবে বলে জানান সুকন্যা। সব সমস্যা মিটে গেলে কেরালায় গিয়ে বিয়ে করার ইচ্ছা তাদের।
সুকন্যা বলেন, সমাজে রুপান্তরকামীদের ব্রাত্য হিসেবে দেখা হয়। তৃতীয় লিঙ্গদেরও অবহেলা করা হয়। তাদের বেশিরভাগকেই ভিক্ষাবৃত্তি করে পেট চালাতে হয়। কেউ আবার জড়িয়ে পড়েন দেহব্যবসায়। সন্তান নিয়েও রূপান্তরকামী দম্পতিদের অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হয়।
বিয়ের পর সন্তান দত্তক নিতে চান জানিয়ে সুকন্যা আরও বলেন, আমরা আমাদের প্রেমকে স্বীকৃতি দিয়ে সমাজের কাছে দৃষ্টান্ত তুলে ধরতে চাই। সবাইকে আমাদের গল্পটা শোনাতে চাই।
সূত্র: ইন্ডিয়া.কম