গোদাগাড়ীর গরুর হাটে নেই, গরু আছে শুধু ছাগল

শামসুজ্জোহা বাবু,গোদাগাড়ী প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌর এলাকায় মহিষালবাড়ীতে গরুর হাটে নেই গরু আছে শুধু ছাগল। সামনে আসন্ন পবিত্র ঈদ উল অাযহা উপলক্ষ্যে জমে উঠেছে ছাগলের হাট।গতকাল রবিবার সপ্তাহিক নির্ধারিত দিন হিসেবে হাটে ছিলো চোখে পড়ার মত ভিড়, আমদানি হয়েছিলো বিভিন্ন প্রজাতির ছাগল, ক্রয় বিক্রয় বেশ ভালই ছিলো , ছাগল বিক্রতা নুরুল ইসলাম একটি ছাগল সর্বচ্চ ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন । এই হাটে সর্বনিম্ন ৫ থেকে ৬ হাজার টাকায় ছাগল বিক্রয় হয়েছে। গত কাল প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ টি ছাগল ক্রয় বিক্রয় হতে দেখা গেছে।আর এসব ছাগল কুরবানিরর জন্য নিয়েছে সাধারণ মানুষ। গত কয়েক বছর আগে এই হাটটি ছিলো ঐতিহ্যবাহী পরিপূর্ণ পশুর হাট দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যাবসায়ীরা গরু ছাগল ক্রয় করে নিয়ে যেত। কিন্তু এর চিত্র এখুন ভিন্ন গরুর হাটে কোন গরু দেখা মিলেনা মিলে শুধু ছাগল,অবৈধ স্থাপনা ও ময়লা আবর্জনার স্তুপ। গরুর হাটের নির্ধারিত জমিতে গঠে উঠেছে নানা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ও আবর্জনা স্তুপ যদিও এলাকাতে মহিষালবাড়ী গরুর হাট হিসেবে পরিচিত জায়গাটি কিন্তু হাটের কোন চিহ্ন পাওয়া যায় না। রাস্তায় বসে ছাগলের হাট। অবৈধ স্থাপনা ও আবর্জনা অপসারণের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের কোন ভূমিকা চোখে পড়েনা বলে জানালেন স্থানীয় লোকজন।সীমান্তবর্তী এলাকা হিসেবে ভারত থেকে গরু আমদানি করে এই হাটে বিক্রি হত হাজার হাজার গরু তাতে রাজস্ব আয় হতো কোটি টাকার উপরে ২০০২ সালে এই রাজস্ব আয়ের জন্য প্রথম শ্রেনীতে পদার্পন করে গোদাগাড়ী পৌরসভা। কিন্তু এর বেহাল দশা গরুর হাটে আছে শুধু ছাগল। পৌর মেয়র মনিরুল ইসলাম বাবু বলেন আমি দায়িত্ব গ্রহন করার পর অনেক চেষ্টা করেছি এবং করছি হাটটি চালু করার জন্য কিন্তু অনেক নিয়ম ও বাধা বিপত্তির কুলিয়ে উঠতে পারছিনা তবে এই হাটে বিগত দিনে যে পরিমান রাজস্ব আয় হয়েছে তা চোখে পড়ার মত শুধু রাজস্ব আয় না মহিষালবাড়ী এলাকার অনেক সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থান নষ্ট হয়ে গেছে। হাটটি চালু হলে আমরা পৌর বাসী সবাই উপকৃত হতাম। হাট ইজারাদার মুখলেসুর রহমান বলেন আমরা যে টাকায় হাট ইজারা নিয়েছি তাতে কোন লাভ নাই কিন্তু এ পেশায় আছি কিছু করে খেতে হবে তাই ছাড়তে পারি না। তবে সামনে ঈদ উপলক্ষে বুধবার সপ্তাহিক হাট ছাড়াও বৃহঃপতিবার ও শুক্রবার অতিরিক্ত হাটের ব্যবস্থা করেছি।

সর্বশেষ সংবাদ