৭ বছর ধরে চলছে লাইসেন্স বিহীন ক্লিনিক, অভ্যন্তরে মাদক সেবন, বেআইনি কার্যক্রমের অভিযোগ

গত প্রায় ৭ বছরে পাবনা জেলার সদর থানার গাছপাড়া,  শালগাড়ীয়া, মুজাহিদ ক্লাব, সদর হাস্পাতাল রোড,  বাস টার্মিনালে এই ক্লিনিক কার্যক্রম চালিয়েছে। বর্তমানে বাস টার্মিনাল-গাছপাড়া রোডে এস্ট্রাস সি,এন,জি ষ্টেশনের পাশে লাইসেন্স বিহীন এই ক্লিনিক সাইনবোর্ড লাগিয়ে অবাধে তার কার্যক্রম চালাচ্ছে। বৈধ-অবৈধ  অপারেশনের পর রোগীদের দেখাশোনা করার জন্য কোনও ডাক্তার নেই অবৈধ “মায়ের আচল” ক্লিনিকের।
প্রত্যক্ষদর্শী অন্যান্য ক্লিনিকের মালিক ও কর্মচারিদের সাথে আলাপকরে জানা যায় আবু সাইদ সন্ধ্যার পরে তার দলবল নিয়ে রোগীর পাশের রুমে বসে মাদক সেবন করে। মাঝে মাঝে পকেট থেকে ধারালো অস্ত্র বের করে প্রদর্শন করে। দরিদ্র গ্রামের রোগী ও তার আত্মীয়-স্বজনরা ভয়ে কিছু বলে না। অপারেশনে ব্যবহার করে নিম্ন মানের ওষুধ। প্যাথলজি টেষ্ট না করিয়েও রোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় টেষ্টের টাকা।
নাম গোপন রাখার সর্তে  সিভিল সার্জন অফিসের একজন কর্মচারি জানান অনেক ক্লিনিকেরই লাইসেন্স বছরের পর বছর নবায়ন করেনা এটাও ঠিক; কিন্তু “মায়ের আচল” ক্লিনিকের কোন লাইসেন্সই নাই। এক প্রস্নের জবাবে তিনি বলেন অনেক জায়গায় জানিয়েছি কিন্তু অজানা কারনে “মায়ের আচল” ক্লিনিকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয় নাই।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মোঃ রহিম উদ্দিন মৃধা বলেন যদিও আমাদেরই দায়িত্ব এগুলো দেখাশোনা করার, তবুও আমি জানিনা “মায়ের আচল” ক্লিনিকের  লাইসেন্স আছে কিনা।

মোবাইল ফোনে সিভিল সার্জন ডাঃ মনিসর চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনিও কিছু জানেন না বলে জানান। সিভিল সার্জন ডাঃ মনিসর চৌধুরী আরও বলেন যদি কেও  তথ্য দেয় তবে তিনি স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

সর্বশেষ সংবাদ