স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চনপুর দক্ষিন পাড়ার ভানচালক শহিদুল ইসলামের একমাত্র ছেলে কালীগঞ্জ সরকারী মাহতাব উদ্দীন কলেজের সম্মান শ্রেণির ছাত্র সোহাগ মিয়া ১১ দিন পর খোজ পাওয়া গেলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছে শৈলকূপায় নিখোঁজ শিশু ভ্যান চালক জিহাদ হোসেন (১২)। পুলিশ জিহাদকে উদ্ধারে প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিশু পাচারকারী চক্রের সন্ধান পেয়েছে। শিশু জিহাদকে অপহরেণ করেছে শৈলকুপার ত্রিবেনী কুঠিপাড়া গ্রামের চন্দ্র শেখের পালিত পুত্র হৃদয়। সেই শিশু জিহাদকে অটোভ্যানসহ অপহণে করে কুষ্টিয়ার পোড়াদহ গ্রামে হৃদয়ের শ্বশুর বাড়িতে ওঠে। জিহাদ হোসেনের পিতা শৈলকুপার রামচন্দ্রপুর গ্রামের হাবিবর রহমান ওরফে হবি জানান, পুলিশ অনুসন্ধান করে এ সব তথ্য তাকে জানিয়েছে। এ বিষয়ে শৈলকুপায় থানায় একটি মামলা হলে শৈলকূপর রামচন্দ্রপুর ফাঁড়ি পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত কর্মকর্তা এস আই শামীম মোবাইল ট্রাকিং করে শিশু জিহাদের অপহরণকারী চক্রের সন্ধান পায়। এসআই শামিম জানান, আমরা ইতিমধ্যে শিশু জাহিদ হোসেনের মোবাইলের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে হৃদয় নামে এক শিশু অপহরণকারী ও পাচারকারীকে শনাক্ত করতে সম্ভব হয়েছি। তাকে গ্রেফতারে প্রথমে শৈলকূপার ত্রিবেনী কুঠিপাড়া গ্রামে ও পরে কুষ্টিয়ার পোড়াদহ এলাকার শ্বশুর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ জানতে পেরেছে পোড়াদহের ওই বাড়িতে এক শিশু অটোভ্যান নিয়ে কান্নাকাটি করছিল। হৃদয় পেশাদার পাচারকারী বলেও এলাকাবাসি জানিয়েছে। পুলিশ আসামীদের ধরার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ অক্টোবর সকালে অটো ভ্যান নিয়ে জিহাদ হোসেন শেখপাড়া বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। এর পর থেকেই সে নিখোঁজ রয়েছে। তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে কালিগঞ্জ মাহাতাবউদ্দিন কলেজে সম্মান শ্রেণির নিখোঁজ ছাত্র সোহাগ হোসেনের সন্ধান মিলেছে। তার মোবাইল নষ্ট থাকার কারণে তিনি যোগাঙেযাগ করতে পারেননি। তিনি চট্টগ্রামের মেসার্স আর এম আই কর্পোরেশনে চাকরী করতেন।
শৈলকুপার শিশু জিহাদ ৯ দিনেও উদ্ধার হয়নি, সনাক্ত হয়েছে অপহারণকারী
October 17, 2021
9 Views
You may also like
সর্বশেষ সংবাদ
সারিয়াকান্দিতে থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৫
3 months ago
শোক সংবাদঃ নৈশ্য প্রহরী শাহজাহান আলীর ইন্তেকাল
3 months ago
কাজিটুলা থেকে বৃদ্ধ নিখোঁজ; ১৯ দিনেও মেলেনি খোঁজ
3 months ago