খুলনায় সরকারি ওষুধসহ স্বাস্থ্যকর্মী আটক

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বিপুল পরিমাণ সরকারি ওষুধ ও রোগীদের থেকে বেঁচে যাওয়া ওষুধসহ আউট সোর্সিংয়ের এক নারী কর্মীকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সকালে হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীরা এক নারীকে কিছু ওষুধসহ বাইরে যাওয়ার সময় সন্দেহজনকভাবে আটক করেছে। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে ডিউটি শেষে ওই নারী কর্মী একটি ব্যাগে কিছু ওষুধসহ হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় সন্দেহ হলে হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্য তার ব্যাগ তল্লাশি করেন। এ সময় তার ব্যাগ থেকে হাসপাতালে রোগীদের বেঁচে যাওয়া কিছু ওষুধ পাওয়া যায়। পরে তাকে আটক করে হাসপাতাল পরিচালকের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে, বিভিন্ন সময় রোগীদের অপরাশেনর সময় বেঁচে যাওয়া ওষুধ, স্যালাইন, ইন্জেকশনসহ বিভিন্ন মালামাল ফেরত না দিয়ে সেগুলো জমা করে পরে বাইরে নিয়ে বিক্রি করত সে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হাসপাতালের জরুরি অপারেশন থিয়েটার থেকে আরও বিপুল পরিমাণ ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্য জাকির বলেছেন, ওই নারী সদস্যকে কিছু ওষুধসহ আমরা হাতেনাতে আটক করে হাসপাতাল কতৃপক্ষের হাতে তুলে দেই। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ইমার্জেন্সি ওটিতে আরও ওষুধ রাখার কথা স্বীকার করেছে। সেখান থেকে আমরা বাকি ওষুধ উদ্ধার করেছি। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক দিলীপ কুমার বিশ্বাসকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. রবিউল ইসলাম বলেছেন, হাসপাতালকে দালালমুক্ত করতে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করি। এই নারীকে আটক সেই অভিযানেরই অংশ। আমরা খতিয়ে দেখছি, এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছেন কি না। আরও কারও সম্পৃক্ততা পেলে আমরা তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ ঘটনায় আমরা পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমটিও গঠন করেছি। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

সর্বশেষ সংবাদ