ব্যবসায়িক ভিসায় বেনাপোল থেকে ভারত ভ্রমণ নিষিদ্ধ

ভারতীয় ইমিগ্রেশনের নিষেধাজ্ঞায় স্থলপথে ব্যবসায়িক ভিসায় ভারত ভ্রমণ বন্ধ হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকাল থেকে এয়ার রুটের মেডিকেল ভিসার যাত্রীদের বেনাপোল বন্দর দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করা হয়। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ভারতের পেট্রাপোল-বেনাপোল ইমিগ্রেশনকে ব্যবসায়িক ভিসার ও বিমান পথের ভিসার যাত্রীদেরকে স্থলপথে না পাঠাতে অনুরোধ জানানো হয়। এদিকে হঠাৎ করে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনের এমন সিদ্ধান্তে ভারতে ঢুকতে না পেরে তিন শতাধিক পাসপোর্টধারী যাত্রী ফিরে গেছেন। গত কাল ৬১ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মেডিকেল ভিসার যাত্রী আকাশ জানিয়েছেন, তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে যেতে স্থলপথের ভিসার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু তাকে বাই এয়ারের ভিসা দিয়েছে ভারতীয় দূতাবাস। এখন আর ভারতে ঢুকতে পারছেন না। তবে আগে বাই এয়ারের ভিসায় বাই রোডে ভারতে যাওয়া যাচ্ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। অপরদিকে ব্যবসায়িক ভিসার যাত্রী রহমত জানিয়েছেন, তার ভিসায় বাই রোড বা বাই এয়ার লেখা আছে। ভ্রমণের সব শর্ত মেনেছেন। তারপরেও বেনাপোল বন্দর হয়ে ভারতে যেতে পারেননি। বর্তমানে ঢাকা থেকে বিমানে কলকাতা যেতে জনপ্রতি ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা ভাড়া উল্লেখ করে যাত্রী আসমা জানিয়েছেন, এরপরও এক সপ্তাহের নিচে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। কিভাবে চিকিৎসা করাব। এত খরচ করে বিমানে যাওয়াও অসম্ভব। এ বিষয়ে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি মোক্তার হোসেন জানিয়েছেন, হঠাৎ করে ব্যবসায়িক ভিসা ও এয়ারের ভিসায় যাত্রীরা ভারতে ঢুকতে পারছে না। তবে যাদের ভিসায় বাই রোড/বাই এয়ার লেখা আছে তারা ভারতে যেতে পারছেন। এদিকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার আসাদুজ্জামান বলেছেন, ভারত থেকে ফিরতে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষাকৃত করোনার নেগেটিভ সনদ লাগছে। তবে যাদের করোনার ডাবল ডোজ টিকা গ্রহণ করা নেই, তাদের বাড়িতে ফিরে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এছাড়া যাদের শরীরে করোনা উপসর্গ আছে তাদের র‌্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষা করা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার থেকে এ পর্যন্ত সন্দেহভাজন ৮ জনের শরীরের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে তারা সবাই করোনা নেগেটিভ ছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ