স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ইউনিয়নে নির্বাচনি সহিংসতায় একের পর এক নিহত হচ্ছে। নিহতের পরিবার গুলো কিভাবে সন্তানদের নিয়ে বেচে থাকবে তা হতাশায় পড়েছে। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বগুড়া ইউনিয়নের দলিলপুর মাঠে কল্লোল হোসেন (৩৫) নামের একজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষ অস্ত্রধারীরা। তিনি উপজেলার বগুড়া গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে। এর আগে সকালে আবদুর রহিম নামে আরেক ব্যক্তি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গত ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচনী সহিংসতায় তিনি আহত হয়েছিলেন। শনিবার নির্বাচনী সহিংসতায় মারা যাওয়া অখিল সরকার ইটভাটায় কাজ করতেন। ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সারংটিয়া ইউনিয়নের ভোটার নন তিনি। থাকতেন আশ্রয় প্রকল্পের শ্বশুরবাড়িতে। নিজ বাড়ি ঢাকার ধামরাই উপজেলায়। হারান আলীও থাকতেন কাঁচেরকোল বাজারের পাশে একই আশ্রয় প্রকল্পের। তাঁরা আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থক ছিলেন। গত ৩১ ডিসেম্বর ইউনিয়নের কাতলাগাড়ি বাজারে নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় অখিল সরকার ও হারান আলী গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই হারান আলী মারা যান। তিনিও কৃষি শ্রমিক ছিলেন। আর অখিল সরকার ৫ জানুয়ারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সারুটিয়া ইউনিয়নের নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত আরেকজন জসিম উদ্দিন। তিনিও দীর্ঘদিন ঢাকায় থাকতেন, ঘটনার দিন সকালে বাড়িতে এসেছিলেন। প্রতিপক্ষের লোকজন ভেবেছিলেন, নির্বাচনে ভোট দিতে বাড়িতে এসেছে, তাই তাঁকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। তাঁর বাড়ি ভাটবাড়িয়া গ্রামে। তিনি ঢাকার একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক ছিলেন। নির্বাচনী সহিংসতায় মারা যাওয়া হারান আলীর স্ত্রী সুফিয়া বেগম জানান, তাঁর স্বামীও কোনো দিন রাজনীতি করেননি। রাজনীতি কী, তাও বুঝতেন না। শুধু নির্বাচনী প্রচার প্রচারনায় দেখতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁকে প্রতিপক্ষের লোকজন কুপিয়ে হত্যা করেছেন।
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নির্বাচনি সহিংসতায় নিহত ৬
January 9, 2022
19 Views
You may also like
সর্বশেষ সংবাদ
সারিয়াকান্দিতে থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৫
3 months ago
শোক সংবাদঃ নৈশ্য প্রহরী শাহজাহান আলীর ইন্তেকাল
3 months ago
কাজিটুলা থেকে বৃদ্ধ নিখোঁজ; ১৯ দিনেও মেলেনি খোঁজ
3 months ago