পাঁচ দিনেও লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সীমান্তে গত পাঁচদিন আগে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি যুবক ফরিদুল মণ্ডল নিহত হলেও এখনও লাশ ফেরত পায়নি পরিবার। যদিও এ ঘটনার পর বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকও হয়েছিল। এর আগে গত রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ভোরে রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্ব কাউয়ারচর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন ফরিদুল। জানা গেছে, ঘটনার পরের দিন সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফরিদুলের মরদেহের হস্তান্তরের বিষয়ে আন্তর্জাতিক ১০৫৪ মেইন পিলারের কাছে ছাটকড়াইবাড়ী সীমান্ত এলাকার নো-ম্যান্স ল্যান্ডে বিজিবি ও বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে ওই পতাকা বৈঠকের বিষয় বিজিবি গণমাধ্যমকে কিছুই জানায়নি। একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানিয়েছে, ঘটনার পরে ফরিদুলের লাশ ভারতীয় বিএসএফ ও পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতে সীমান্তের ঘটনাস্থল থেকে ধুবড়ি জেলার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ময়নাতদন্তের পর মরদেহটি আবারও কুকুমারা বিএসএফ ক্যাম্পে রাখা হয়। নিহতের স্বজনদের দাবি, ফরিদুলের লাশ এখনও কুকুমারা ক্যাম্পে আছে। তবে সেখান থেকে এক ধরনের ‘গন্ধ’ সীমান্ত এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে গন্ধটি ফরিদুলের লাশের। লাশ ফেরতের দাবি জানিয়ে স্বজনরা বলেন, বিজিবি ক্যাম্পে বারবার গেলেও তারাও কিছুই বলে না। স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহজাহান আলী বলেন, ফরিদুলের বাড়িতে মাতম চললেও লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ। উল্টো ঘটনার পরের দিনেই আরও একটি স্থানে তারা গুলিবর্ষণ করে। জামালপুর ব্যাটালিয়ন-৩৫ বিজিবির দাঁতভাঙ্গা বিওপির সুবেদার আনছার আলী জানান, নিহত বাংলাদেশি যুবকের লাশ ফেরত আনার চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্বকাউয়ারচর সীমান্তের আর্ন্তজাতিক ১০৫৭ নম্বর মেইন পিলারের ৩-এস-টি সাব পিলালের কাছে ভারতীয় গরু পারাপারের সময় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক ফরিদুল ম-লের মৃত্যু হয়। নিহত যুবক উপজেলার হরিণধরা গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিএসএফের গুলিতে নিহত ফরিদুলের লাশ ফেরত দেয়নি।

সর্বশেষ সংবাদ