মুজিবনগর দিবসে জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

প্রেস বিজ্ঞপ্তি-ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের সুচিকিৎসা বাস্তবায়নের একমাত্র সংগঠন জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল জেলা কার্যালয়ে সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি চট্টগ্রাম জেলা শাখার উপদেষ্টা আলহাজ্ব ইব্রাহিম’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও বিশিষ্ট গবেষক ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য মুহাম্মাদ মহিউদ্দিন, সদস্য মুহাম্মাদ আনোয়ার হোসাইন সহ জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন আজ ১৭ এপ্রিল। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। আজ থেকে ৫১ বছর আগে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল শনিবার বেলা ১১টার দিকে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে এক অনাড়ম্বর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকারের শপথগ্রহণ। শপথ অনুষ্ঠানে পাঠ করা হয় স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। বৈদ্যনাথতলা ছিল এক অপরিচিত গ্রাম। ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অস্থায়ীসরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মেহেরপুরের এই গ্রামটির নামকরণ করা হয় মুজিবনগর। শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ ঘোষণা করেন, আজ থেকে (১৭ এপ্রিল) বৈদ্যনাথ তলার নাম হবে মুজিবনগর। আজ বাঙালি জাতির কাঙ্ক্ষিত স্বাধীন রাষ্টের সরকার প্রতিষ্ঠার সেই স্মরণীয় দিন। এ সময় উপস্থিত হাজার হাজার মুক্তিপাগল বাঙালি, শত শত বীর মুক্তিযোদ্ধা আনন্দে উল্লাসে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে আম্রকুঞ্জের বাতাস প্রকম্পিত করে তুললেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে রইলো এই দিনটি।
প্রধান অতিথি  আরো বলেন, জাতির জনক তাঁর ৫৫ বছরের জীবন-ইতিহাসে ৪ হাজার ৬ শত ৮২ দিন (প্রায়) ১৩ বছর জেল খেটেছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি যুদ্ধ করেছেন বলে তাদের জাতিসত্তাকে টিকিয়ে রাখতে পেরেছেন।
এমন একজন নিঃস্বার্থ নেতা পাওয়া বাঙালি জাতির জন্য সৌভাগ্য বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধু ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে তাঁর পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করা হয়।

সর্বশেষ সংবাদ