অল্প সময়ের মধ্যেই এমপিকে আগের জায়গায় যেতে হবে

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমরুল হক সাব জানিয়ে দিয়েছেন এমপির খাওয়া নাই, তাকে আগের জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে, এত ক্ষমতার দাম্ভিকতা ভালো না, তিনি যা শুরু করেছেন অল্প দিনের মধ্যেই তিনি বুঝতে পারবেন কত ধানে কত চাউল, পিঠা খাবে আর কতটা ফুটো আছে গুনবেনা, তাহতে পারেনা,আগামী সম্মেলনের আগেই বুঝতে পারবেন রাব্বানী মামুন ইমরুল কি জিনিস । এসময় ঢাকাতে যাওয়ার মানে বুঝতে হবে। শুধু কেন্দ্রীয় নেতাসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট এমপির অপকর্মের বিস্তারিত সব কিছু বলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরের আগ মুহুর্তে এধরণের কথা বলেন মেয়র ইমরুল হক। আপনি নৌকা প্রতীকের মেয়র নির্বাচিত বিদ্রোহীদের সাথে কি কারনে জানতে চাইলে তিনি জানান, রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই, রাব্বানী মামুন যাতে পুনরায় বহাল থাকে এজন্য ঢাকায় গিয়ে সমস্ত কাজ করা হয়েছে। আমরা নিয়োগ বানিজ্যের জন্য কারো পকেট কাটিনা। আর এমপি কোথাই থেকে একজনকে ধরে এনে তার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা বানিজ্য করেছেন ও করছেন, আবার নাকি পাচটা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি করা হয়েছে। তাদের সাথে কোন ভালো মানুষ থাকেনা। এই যেমন এক নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাসির উদ্দিন, দুই নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জনি ও নয় নম্বর ওয়ার্ডে বাবু, এরা ওই বানিজ্য নেতার অনুসারী। তারা নানান ভাবে আমাকে বেকায়দায় ফেলতে চাই, কিন্তু পারেনা। কারন আমি ইমরুল কোন দুর্নীতি করিনা, করতেই দিই না।এজন্যই তো এমপির কাছে খারাপ, তাকে যারা মোটা অংকের টাকা দিতে পারবে সে প্রিয়। সে শুধু তানোর না পুরো জেলা আওয়ামী লীগ কে বিতর্কিত করেছে। আমরা বিদ্রোহী করলে দোষ, কিন্তু এমপি তো সরনজাই ইউনিয়ন ভোটে মটরসাইকেল প্রার্থী আবু সাইদের পক্ষে ভোট করেন। সেখানে কি নৌকা প্রতীক ছিল প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেননা ছিল না। তাহলে কি ভাবে বিদ্রোহী। মেয়র আরো বলেন কলমা ইউপির ভোটে এমপির বড় ভাই বাবু চৌধুরী বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান হল কিভাবে এটা সবাই জানে, অন্য জায়গায় চুরি করা গেল আর কলমা হল না। নৌকা পরাজিত হল। এটাও প্রমাণ সাপেক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নথি পত্র দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন দ্রুত ব্যবস্হা নেওয়া হবে। রাব্বানী মামুনের দলীয় চেন কত শক্তিশালী তা এবার ঢাকায় গিয়ে দেখলেম। ওরা যেসব ভিআইপি নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের লোকজন থেকে শুরু করে বাঘা-বাঘা নেতা রাব্বানীর হাতের কব্জায়। আমার পৌরসভার তিন বাটপার কাউন্সিলর সুজনের হয়ে আমাকে জব্দ করতে চায়। তারা ভাবেনা আমি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়া নেতা। এমপি হাজারো চেষ্টা করে আমার মনোনয়ন আটকাতে পারেনি এবং পারবেওনা বলে দম্ভোক্তি দেখান।

সর্বশেষ সংবাদ