বগুড়ার শেরপুরে সরকারী জমি দখল করে বাড়ি ঘর দোকানপাট নির্মাণ

শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি:বগুড়ার শেরপুরে সরকারী জমি দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন কতিপয় প্রভাবশালী ও ভুমি দস্যুরা। এলাকায় সরকারী এ জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে আধাপাকা ভবন, দোকানপাট নির্মাণসহ এগুলো ভাড়া খাটাচ্ছেন তারা। এর ফলে এলাকার জনগনের মধ্যে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলাধীন টাউনকলোনী পুরাতন কোর্ট ভবন সংলগ্ন এলাকা একটি আবাসিক এলাকা। উক্ত আবাসিক এলাকায় বিগত এরশাদ সরকারের আমলে আদালত ভবন স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে সরকার বদলের পর সকল উপজেলা থেকে আদালতগুলি জেলা সদরে স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত আদালত ভবনে শেরপুর উপজেলা সেটেলসেন্ট অফিস স্থাপিত হয়। উক্ত সেটেলসেন্ট অফিস ভবনের আশেপাশে তিন বিঘা সরকারী জমি রয়েছে। এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় বিভিন্ন তারিখে ও সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি উক্ত সরকারী জমি আত্মসাতের কু-উদ্দেশ্যে সরকারী সম্পত্তির উপর রোপিত গাছ পালা রাতের আধারে কেটে নিয়ে যাচ্ছে এমনকি অফিস ছুটির দিনে ঘর বাড়ি নির্মাণ করে কেউ নিজেরা বসবাস করছে আবার কেউ কেউ ঘর বাড়ি নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছে। এবং কেউ দোকানপাট ও হোটেল নির্মাণ করে ব্যবসা করছে। এছাড়া উক্ত সরকারী সম্পত্তিতে বসতি স্থাপনকারী কতিপয় ব্যক্তি মাদক ব্যবসা করছে বলেও অভিযোগে জানা যায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ সেপ্টেম্বর তারিখে জনৈক আব্দুস ছাত্তার নামক ব্যক্তি উক্ত সরকারী সম্পত্তির ওপর রোপিত গাছ কেটে সেখানে বাড়ি নির্মাণ করে। সরকারী সম্পত্তিতে অবৈধভাবে বাড়ি ঘর ও দোকানপাট নির্মানের কারণ জানতে চাইলে তারা জানান, উক্ত সম্পত্তি আমরা ক্রয় করেছি। বরং সরকারের কাগজ পত্রই ভুয়া। সরকারী জমির গাছপালা কেটে তারা অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেও এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান।
শেরপুর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসার বিষয়টি জানার পরও অজ্ঞাত কারণে সরকারী জমি অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেনা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, সরকারের জায়গা দখল করে কেউ ঘর নির্মান করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 

সর্বশেষ সংবাদ