বগুড়ার শেরপুরের খামারকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি:বগুড়ার শেরপুরের খামারকান্দি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী ও পিয়ন পদে নিয়োগ নিয়ে সীমাহীন দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিরুদ্ধে। উভয়ে পদে নিয়োগ অনিয়ম অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিয়োগ বঞ্চিত ২ আবেদনকারী নিয়োগ কমিটির বিরুদ্ধে গত ২৯ আগস্ট বগুড়া আদালতে মামলা দায়ের করেছে। এতে নিয়োগ বন্ধে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে বিজ্ঞ আদালত।
জানা যায়, শেরপুর উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফজলুল হক মন্ডল কর্তৃক সম্প্রতি অফিস সহাকারী ও পিয়ন পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি করে। এতে উভয়পদে ৪০জন চাকুরী প্রত্যাশীরা আবেদন করে। আবেদনকারীদের পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এবং স্বজনপ্রীতির জন্য আবেদনকারীদের অনুকুলে গত ঈদ-আযহার ছুটির ১দিন আগে এ্যাডমিট কার্ড প্রেরণ করায় নিয়োগ পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হয় অন্যান্য চাকুরী প্রত্যাশীরা। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রশাসন ও অন্যান্য নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের ম্যানেজ করে সভাপতির আপন ছোট ভাই সোলায়মান মন্ডলের ছেলে রাজু আহম্মেদকে অফিস সহকারী এবং তার নিজের ভাগ্নে চেনু মন্ডলের ছেলে শামীম মন্ডলকে পিয়ন পদে প্রায় ১০ লাখ টাকা উৎকোচের বিনিময়ে উভয় পদে নিয়োগ তড়িঘড়ি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। পরবর্তীতে আবেদনকারীদের মধ্যে আব্দুল হাকিম ও মিথুন সরকার বাদী হয়ে উক্ত বিদ্যালয়ের নিয়োগ কমিটির বিরুদ্ধে বগুড়া জজ আদালতে মামলা নং ১২৫ ও ১২৬ দায়ের করে। মামলার প্রেক্ষিতে ওই বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ নিয়োগ কমিটির বিরুদ্ধে উভয় পদে নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন বিজ্ঞ আদালত। এদিকে ওই ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবেদনকারীদের মধ্যে নিজের আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে উভয় পদের অনুকুলে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা উৎকোচ গ্রহন সহ ইতিপূর্বে নিয়োগ বানিজ্য করে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে বিশ্বস্তসুত্রে জানা গেছে। তাছাড়া ওই ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফজলুল হক মন্ডল ইতিপূর্বে শেরপুর বিআরডিবি অফিসে চাকরীরত অবস্থায় ১০০টি শ্যালো মেশিনের কিস্তির টাকা আত্মসাতের দায়ে চাকুরীচ্যুত এবং তার স্ব-ঘোষিত নিজস্ব অর্থায়নে ওই বিদ্যালয়ে নগদ ৩ লাখ টাকা, ২৪টি ফ্যান, ১৫০টি বসার ব্রেঞ্চ এবং সেমিপাকা ৫০ হাত ঘর নির্মান করেছেন বলে এমন প্রতারণাসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফজলুল হক মন্ডল বলেন, আমি কক্্রবাজারে ভ্রমনে আছি আপনার সাথে সাক্ষাতে কথা বলবো বলে এড়িয়ে যান।
এ ব্যাপারে নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ও প্রধান শিক্ষক শরিফ উদ্দীন বলেন, নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়োগ কমিটির সিদ্ধান্তের বাহিরে কিছু করা যায়না।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ নজমুল হক বলেন, নিয়োগের উপর বিজ্ঞ আদালতে মামলা করায় নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত আছে।

সর্বশেষ সংবাদ