তানোরে ছাত্রলীগ সভাপতি সম্পাদককে মারপিট এর অভিযোগ

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সানী ও সম্পাদক শাওন কে নিজ দলের কর্মীরা গণ ধোলায় দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা কমিটি গঠনের নামে নিজ দলের কর্মীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কমিটি গঠন করতে না পারায় এ মারপিটের সুত্রপাত বলে একাধিক নেতা কর্মীরা নিশ্চিত করেন । গত বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে উপজেলা চান্দুড়িয়া বাজার এলাকায় ঘটে এমারপিটের ঘটনা । সভাপতি সম্পাদকের টাকা নেয়া ও মারপিটের ঘটনা ফাস হয়ে পড়লে ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের মাঝে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। জানা গেছে উপজেলার চান্দুড়িয়া ইউপি কমিটি গঠনের জন্যে কিছু কর্মীকে ইউপি নেতা করা হবে বলে মোটা অঙ্কের টাকা নেন সভাপতি সঞ্জিত কুমার সানী ও সাধারন সম্পাদক সারোয়ার হোসেন শাওন। কিন্তু দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হলেও কমিটি গঠন না করে তালবাহানা শুরু করেন ।তাঁরা ইউপির রাতৈল গ্রামের শাহিনের নিকট ৭ হাজার টাকা আজিবুরকে ইউপি সভাপতি করার নামে ৫ হাজার টাকা আদায় করেন। ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি করা হবে এখলাসকে এ মর্মে ১০ হাজার টাকা , ৬নং ওয়ার্ড সভাপতি করা হবে জাহিদকে বলে তার কাছেও ১০হাজার টাকার প্রস্তাবদেন উপজেলা সভাপতি সম্পাদক । প্রত্যাক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায় চলতি মাসের গত বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে কমিটি করতে যান উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সানী সাধারন সম্পাদক শাওন। তাঁরা চান্দুড়িয়া ইউপির বারো পুঠিয়া নামক স্থানে বসে কয়েকজন কর্মীকে নিয়ে কথা বলা শুরু করলে উত্তেজিত কর্মীরা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের নামে কিসের চাঁদাবাজি বলেই মারপিট শুরু করেন। অন্তত ৫০ থেকে ৬০ জন কর্মী তাদেরকে গণধোলাই দিতে দিতে চান্দুড়িয়া উপর পাড়া মোড়ে আসামাত্রই ভ্যানে লাপ দিয়ে উঠে দ্রুত গতিতে বাজার পার্টি অফিসে আসেন। সেখানেও কর্মীরা এসে পার্টি অফিস ঘেরাও করে ফেলেন । পরে ইউপি আ”লীগ নেতারা এসে পরিস্থিতি শান্ত করে কর্মীদের পাঠিয়ে দেন। তাঁরা সেখান থেকে যাওয়া মাত্রই সভাপতি সম্পাদককে পাঠিয়ে দেন। ইউপি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজমুল হোসেন রনি জানান ছাত্রলীগের সভাপতি সানী সম্পাদক শাওন ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের নামে একাধিক কর্মীকে বিভিন্ন পদ দেয়া হবে বলে চাঁদাবাজি শুরু করেছেন। ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে পুরো উপজেলা জুড়ে এসব করা শুরু করেছেন । যা গঠনতন্ত্র বিরোধী । মারপিঠের সময় এলাকায় ছিলাম না । তবে কর্মীরা ফোনে জানান চাঁদাবাজ সভাপতি সম্পাদককে গণধোলায় দেয়া হয়েছে । এরা ছাত্রলীগকে ধ্বংস করে ফেলেছে। তাদেরকে অচিরেই বহিস্কার করা দরকার । ছাত্রলীগের উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক অমি জানান ঘটনা শুনেছি যদি পদ দেবার নামে চাঁদা আদায় করে থাকেন এটা গঠণতন্ত্র বিরোধী। তবে মারপিটও কাম্য না দলীয় ফোরামে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেত। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সানী সাধারন সম্পাদক এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান শুধু কথা কাটাকাটি হয়েছে মারপিটের ঘটনা মিথ্যা বলে এড়িয়ে যান।

 

সর্বশেষ সংবাদ