জেলা প্রতিনিধি,লালমনিরহাট-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা, সাবেক সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেছেন, ভিসানীতি ওই দেশের আভ্যন্তরীন বিষয়। এটা আওয়ামীলীগের জন্য খুব একটা গুরুত্বপূর্ন বিষয় নয়। ভোটারদের নিয়ে কাজ করছে আওয়ামীলীগ।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে স্মার্ট কর্ণার উদ্বোধন কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
কবির বিন আনোয়ার বলেন, ভোটারদের ভোটমুখি করতে বাড়ি বাড়ি যাবে আওয়ামীলীগের স্মার্টকর্মীরা। এজন্য স্মার্ট কর্ণার করা হচ্ছে। দক্ষকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে উন্নয়নের বার্তা পৌছে দিয়ে ভোটারদের সাথে নিয়ে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে একটা উৎসবের পরিবেশ তৈরী করা হবে।
মার্কিন ভিসা নীতি প্রসঙ্গে কবির বিন আনোয়ার বলেন, ভিসা নীতিটা তাদের একান্ত বিষয়। কাকে তারা তাদের দেশে আসতে দিবে কি দিবে না। সেটা একান্তই তাদের বিষয়। সেটা নিয়ে ভাবনা বি আছে। যিনি পড়তে জানেন না তিনি কি কাগজে কি লিখা আছে সেটা পড়তে যান?। সুতরাং তাদের ভিসা নীতি নিয়ে আমাদের ভাবনার কিছু নেই।
তথ্যপ্রযুক্তি আইন প্রসঙ্গে কবির বিন আনোয়ার বলেন, সরকার বিরোধী প্রচারনা মানেই তা দেশ বিরোধী প্রচারনা। সুতরাং দেশ বিরোধী কার্যকলাপ রোধ করতে তো আইন প্রয়োগ করতে হবে। এখন সকল পত্রিকায়ই অনলাইনে চলে গেছে। অনেকেই ছবি তুলে ভিডিও করে কার্টুন করে বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচারও করছে। গুজব সৃষ্টি করছে। তো এসব রোধ করতেই তথ্য প্রযুক্তি আইন ব্যবহার হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নত একটি রূপ। স্মার্ট বাংলাদেশের প্রাথমিকভাবে চারটি বিষয় এসেছে, যেমন স্মার্ট গভর্নর, স্মার্ট সিটিজেন স্মার্ট সোসাইটি এবং স্মার্ট ইকোনমিক। আমরা দেশের প্রতিটি নাগরিককে স্মার্ট করে গড়ে তুলবো। আমাদের প্রতিটি জেলা কার্যালয়ে স্মার্ট কর্নার নির্মাণ করে আমাদের সন্তানদের প্রশিক্ষন দেব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ডিজিটাল করার স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটা তার নির্বাচনী ইশতেহার ছিল। ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করবে এবং সেটা তিনি করিয়ে দেখিছেন।
এর আগে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে স্মার্ট কর্নার উদ্বোধন করেন আওয়ামীলীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বায়ক কবির বিন আনোয়ার। এরপর জেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন তিনি। জেলা আওয়ামীলীগের অভ্যান্তরীন কোন্দোল নিরসনে এ মতবিনিময় সভা বলেও দাবি করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন এমপি, সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি, কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সমাজক্যালন মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক সিরাজুল হক
