নাগেশ্বরীতে ৭টি গ্রামের ১৫ হাজার মানুষের ভরসা একটি বাঁশের সাঁকো

সাইফুর রহমান শামীম,কুড়িগ্রাম: ০৪.০৪.২০১৭ইং নাগেশ্বরীতে ঝুকিপুর্ন ও নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোই ভরসা সাতটি গ্রামের ১৫ হাজার মানুষের। সাঁকোটি দুই ইউনিয়নের সীমান্তে হওয়ায় কোন চেয়ারম্যানের সহযোগিতা না পেয়ে প্রতিবছরই নিজ খরচে সংস্কার করে এলাকাবাসী। জানা গেছে, উপজেলার সন্তোষপুর ও রামখানা ইউনিয়নের সীমান্তে ছোটধনী বিলে একটি ব্রিজের প্রয়োজন। কিন্তু ওই দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানই বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ায় দীর্ঘদিনেও তা নির্মিত হয়নি। ফলে বিলের দুই পাড়ের হরিবালারকুটি, হীরারকুটি, শিয়ালকান্দা, গোপালপুর, দক্ষিণ রামখানা, উত্তমখানা, ছিলাখানা গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ সেখানে নিজ খরচে তৈরি বাঁশের সাঁকোতে পাড়াপাড় হয়। এবারে বন্যার পানির তীব্র ¯্রােতে নড়বড়ে ও ঝুকিপুর্ন হয়ে পড়েছে সাঁকোটি। এলাকাবাসী আবু বকর, জহুরুল হক, কান্দু শেখ, রশিদা বেগমসহ দুই পাড়ের অনেক মানুষ জানান ছোটধনী বিলটি দুইটি ইউনিয়নের সীমান্তে হওয়ায় কোন চেয়ারম্যান ব্রিজ নির্মাণের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা না করায় পাড়াপাড়ের দুর্ভোগে আমরা সাতটি গ্রামের মানুষ। সেখানে দ্রুত একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবী জানান তারা। রামখানা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম সরকার বলেন আমি নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। আমি মনে করি ওই এলাকায় একটি ব্রিজ নির্মাণ জরুরী। সন্তোষপুর ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকু বলেন জনগনের দুর্ভোগ বিবেচনা করে সেখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের বিষয়ে উপজেলা এলজিইডিকে অবহিত করেছি।

সর্বশেষ সংবাদ