দৌলতপুরে প্রবাসী প্রতারিত পরিবার আতঙ্কিত

ষ্টাফ রিপোর্টার : কুষ্টিয়ায় দৌলতপুরে খালেদ হাসান নামের এক সিঙ্গাপুর প্রবাসীর বাড়ীতে রাতের আধারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সে উপজেলার কল্যানপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। আহত খালেদ হাসান গণমাধ্যমকে জানান গত ২৮ ডিসেম্বর২০১২ একই উপজেলার আমদহ (মাঠপাড়া) গ্রামের জনৈক সিরাজুল ইসলামের কন্যা কনা (ছদ্মনাম) এর সাথে শরিয়ত মোতাবেক রেজিষ্ট্রী কাবিনমূলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের দুই মাস পর সিঙ্গাপুর চলেযান। স্বামীর অনুপস্থিতে উজ্জল নামের এক যুবকের সাথে অবৈধ প্রণয় গড়ে তোলেন গৃহবধু এবং প্রণয়কে পরিণত করতে অজানার পথে পা বাড়িয়ে দেন। বিষয়টি নিয়ে হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গের মধ্যস্থতায় শালিস হয়েছে কয়েকবার । ভুক্তভোগি যুবক খালেদ হাসান একমাত্র ছেলে ওমর ফারুক@ আতিক (২) এর কথা ভেবে গৃহবধুকে সংসারে গ্রহন করেন। খালেদের মা গণমাধ্যমকে জানান, এত কিছুর পরও স্বাভাব বদলাইনি গৃহবধু কনার। উজ্জলের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখেন সে। খালেদ হাসানের অনুপস্থিতিতে গৃহবধু কনা (ছদ্মনাম)
বিভিন্ন সময়ে কৌশল করে নগদ দশ লক্ষ টাকা, তিন লক্ষ টাকা সমমূল্যের স্বর্ণের গহনা, ২টি গরু যাহার মূল্য একলক্ষ টাকা নিয়ে বাবার বাড়ী চলে যায়। কাউকে কিছু না বলে আত্মগোপনের ঘটনায় শঙ্কিত হয়ে পড়ে খালেদের
পরিবার । অনেক খোজাখোজি করে খালেদের পরিবার নিশ্চিত হয় যে কনা তার বাবার বাড়ী আমদহ গ্রামে আশ্রয় নিয়েছেন। এ খবর পেয়ে চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে খালেদ হাসান বিদেশ থেকে গ্রামে ফিরে আসেন। একমাত্র সন্তান ও স্ত্রী কে সংসারে ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যে গত ১৮/০৪/২০১৮ ইং খালেদ হাসান তার শ্বশুড় বাড়ী সিরাজুল এর বাড়ী যায়। গৃহবধু কনা সংসারে ফিরে আসতে রাজি না বলে জানিয়ে দেয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে একই দিন বিকাল তিনটায় সিরাজুলের নেতৃত্বে ১০/১২জন দূর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে খালেদ হাসান এর উপর হামলা চালায়। এলোপাথারী ভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে খালেদ হাসান মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা এসে রক্তাত্ববস্থায় খালেদ হাসানকে উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করেন। লাঠির আঘাতে খালেদ হাসানের ডান হাতের ৫ম মেটাকারপাল হাড় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। খালিদ হাসান জানান , বিদেশ থেকে প্রেরিত টাকার হিসাব চাওয়ায় তার কাল হয়েছে। বিদেশ থাকাস্থায় স্ত্রীর প্রতি সরল বিশ্বাসে গৃহবধু নিজস্ব একাউন্টে ব্যাংক মারফত টাকা পাঠাত ।কিন্তু ঐগৃহবধু আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ফন্দি আটতে থাকে। খালিদ হাসানের উপর হামলার ঘটনায় দৌলতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে যার নং-৩৮ তাং- ২০/০৫/২০১৮ইং। দীর্ঘকাল পেরিয়ে গেলেও কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি। মামলা দায়ের করায় আসামিরা ক্ষীপ্ত হয়ে গত ২০ মে ২০১৮ ইং রাত ১২ টায় রাতের আধারে খালেদ হাসানের বাড়ীতে হামলা করে।ভূক্তভোগী পরিবার জানায় রাতের আধারে মুখোশ পরে আক্রমনকারীরা খালেদ হাসানের বাড়ীতে আক্রমন চালায়। দৌলতপুর থানার এসআই আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে একটি চৌকস অভিযানিক দল ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামীরা পালিয়ে যায় । যে কোন সময় পূনরায় হামলার আশাংকায় পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, গৃহবধু কনা (ছদ্মনাম) এর এক আত্মীয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য জনি আহমেদ পিং আন্তাজ ব্যাপারী ছুটিতে এসে প্রভাব খাটিয়ে খালেদ হাসানের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করার পায়তারা করছেন। খালিদ হাসানের উপর হামলা কারীদের গ্রেফতার না করতে পুলিশকে চাপ দিচ্ছেন।হামলার ঘটনার সময় জনি আহমেদ ঘটনাস্থল থেকে একটু দূরে দাড়িয়ে নিজ ব্যবহৃত মোবাইল থেকে আসামীদের নির্দেশনা দিয়েছেন। হাসানের উপর হামলা কারীদের গ্রেফতার না করতে পুলিশকে চাপ দিচ্ছেন। এব্যাপারে দৌলতপুর থানার ওসি শাহ্ দারা খান কোন মন্তব্য করেননি । তবে অভিযুক্তদের দ্রূত গ্রেফতার করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি। খালেদ হাসান কষ্টে উপার্জিত অর্থ হারিয়ে নিঃস্ব এবং দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা এস আই সাইফুল জানিয়েছেন, দ্রুত তদন্ত পূর্বক বিজ্ঞআদালতে অভিযোগেপত্র দায়ের করা হয়েছে। মামলার ব্যাপারে গণমাধ্যমের সামনে কিছু জানাননি তিনি।
এদিকে ভুক্তভোগি খারিদ হাসান ঘটনাটির সূষ্ঠ তদন্ত ও সুবিচার প্রার্থনা করেছেন। এব্যাপারে জানতে গেলে মিরাজুল কে বাড়ীতে পাওয়া যাইনি।

সর্বশেষ সংবাদ