ভারী বর্ষন, ঝড় আর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে চলনবিলের বোরো ধান

এ,এইচ,খোকন চলনবিল প্রতিনিধিঃ চলনবিল এলাকায় ধান কাটা ও ঘরে তোলার মৌসুম শুরু ও শেষের দিকে অতিবৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টিতে বেশ কিছু এলাকার কৃষক বেকায়দায় পড়েছে। কিছু কিছু এলাকায় অতিবৃষ্টিতে ধান গাছ নুয়ে পড়েছে; আবার কোথাও ভেসে গেছে, শিলার আঘাতে ঝরে গেছে ধান। তিন থেকে চারদিন ক্ষেতে পানি জমে থাকায় কাঁচা ধান গাছের গোড়া পচে নষ্ট হয়ে গেছে। ভারী বৃষ্টিতে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে পাকা ধান।
গোলাভরা ধানে হাসি ফুটবে কৃষকের। এমন স্বপ্নেই বুক বেধেছিল কৃষক। সেই স্বপ্নে আঘাত হানলো কালবৈশাখী ঝড়। স্বপ্নের সেই জায়গায় ঠাই করে নিল শুধুই হতাশা আর অপ্রাপ্তি। কয়েক দফার কালবৈশাখী ঝড় চলনবিলের শত শত হেক্টর জমির বোরো ধানের গাছ মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। কৃষকের সোনালি স্বপ্নের জায়গায় দিয়েছে নিরাশা। ঝড়ে লেপ্টে যাওয়া এসব ধান সময়মতো রোদ না পেলে পচে যেতে পারে। এতে উদ্বিগ্ন কৃষক ঝড়কবলিত ধানে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কায় হতাশ হয়ে পড়েছেন। আজ রবিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চলনবিলের তাড়াশ ও গুরুদাসপুর উপজেলার লালুয়ামাঝিরা ও বিলসা মাঠের কয়েকশ হেক্টর জমির ধান নুয়ে পড়েছে৷ কৃষকরা জানান, সেচ সংকট মোকাবেলা করে বোরো ধান চাষ করেছেন তারা। কৃষি উপকরণের দাম বাড়ায়, বেড়েছে উৎপাদন খরচ ও শ্রমিকের মজুরি। তা ছাড়া বীজ, সার-কীটনাশক, সেচ, নিড়ানিসহ প্রতি বিঘায় ব্যয় হয়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা৷আবহাওয়া থাকলে প্রতি বিঘায় ২৫-২৮ মণ হারে ধানের ফলন হয়। এবার আবহাওয়া প্রতিক‚ল হওয়ায় বর্তমান চিত্র ভিন্ন। ঝড়ে গ্রতিগ্রস্ত ধানের ফলন কমে গিয়ে প্রতি বিঘায় ১৫-১৭ মণ হারে হওয়ার ধারণা করছে কৃষক।আবহাওয়া অনুকুলে  থাকলে ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনাও ছিল। বৈরী আবহাওয়ার কারণে কৃষকদের মাঝে এক ধরণের হতাশা দেখা দিয়েছে৷

সর্বশেষ সংবাদ