গোবিন্দগঞ্জের বাগদায় আদিবাসী পল্লীতে বাসদের ত্রাণ বিতরণ

আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাগদায় আদিবাসী পল্লীতে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার ত্রাণ বিতরণ করা হয়। সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলীর সভাপতিত্বে ত্রাণ বিতরণকালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা জেলা বাসদ সমন্বয়ক কমরেড গোলাম রব্বানী, নওগাঁ জেলা বাসদ সমন্বয়ক কমরেড জয়নাল আবেদীন মুকুল, গাইবান্ধা জেলা ফোরাম সদস্য অ্যাডভোকেট মোস্তফা মনিরুজ্জামান, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম জেলা সভাপতি ইসরাত জাহান লিপি, বাসদ সংগঠক অ্যাড. আব্দুস সালাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বীরের জাতি সাঁওতাল। পরাধীন ভারতবর্ষে বৃটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে তীর ছুঁড়েছিল, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধেও তীরধনুক নিয়ে পাকিস্তা হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল ওরা। কি নিষ্ঠুর নিয়তি স্বাধীন দেশেও নিজস্ব ভূমির জন্য ওদের এখনও তীর ছুঁড়তে হয়। দেশে বড় বড় কথা বলা মানুষের অভাব নেই। নিজের জমি ফেরত চাইতে গিয়ে কেন সাঁওতালদের জীবন দিতে হয়? সাঁওতালদের জমি থেকে রাষ্ট্র পুলিশ প্রশাসন এবং ক্ষমতাসীন দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে সাঁওতালদের শুধু উচ্ছেদই করেনি, বসতভিটা ছারখার করেনি, জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার পর ট্রাক্টর দিয়ে প্রকাশ্যে বসতভিটা চাষ করে সব চিহ্ন মুছে দিয়েছে। যে দেশে এত বিভক্তি সবখানে, সেখানে সংখ্যালঘুদের জমি সম্প কেড়ে নিতে এরা কত একতাবদ্ধ। সাঁওতালদের বাড়িঘর, গ্রাম প্রকাশ্যে জ্বালিয়ে ছারখার করে দেয়ার পরও কেন দোষী ব্যক্তিদের কেউ গ্রেফতার হয়না, বিচার হয় না? এদেশে বহুজনের বহু কিছু হলো। এই চির বঞ্চিত নিরাশ্রয়ী হতভাগা মানুষদের যদি একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই হয় তাতে কি এমন ক্ষতি বৃদ্ধি হতো দেশের।
বক্তারা আরও বলেন, বাগদায় সাঁওতালরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। তারা ক্লান্ত ক্ষুধার্ত। ওদের শিশুদের মুখপানে তাকালে বোঝা যায় ওরা অপুষ্টিতে ভুগছে। রাষ্ট্র এত দানবিক হৃদয়হীন হতে পারে। অবিলম্বে তাদের পর্যাপ্ত ত্রাণ, কাজ এবং সব ধরণের হয়রানী বন্ধসহ দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতারের দাবি জানান।

সর্বশেষ সংবাদ