আমরা তরুন গড়বো দেশ,,সমৃদ্ধের বাংলাদেশ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেন্জ্ঞ আলফ্রেড হেনরি কিসিন্জার বাংলাদেশের যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে অভিহিত করেছিলেন। সেই বাংলাদেশ আজ শুধু পূর্ণাঙ্গ ঝুড়িই নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ বালতিতে রূপান্তরিত হয়েছে। বালতি কেন বললাম জানেন? কারণ ঝুড়িতে পানি ধারন করা অসম্ভব । কিন্তু বালতিতে শুধু পানি কেন সবই ধারন সম্ভব।
বাঙালী আদিকাল হতেই নির্যাতিত, নিপীড়িত আর বৈষম্যের জেলে বন্দি। সব সময় এ জাতিকে করা হয়েছে অপমান আর অপদস্ত। কিন্তু মজার বিষয় এটাই যে অপমানিত এই জাতিই আবার অস্ত্রের বিরুদ্ধে অস্ত্রহীনভাবে যুদ্ধ করে ফিরিয়েছে নিজেদের সম্মান ও মর্যাদা। তাই বলতে ইচ্ছে করছে-

“ওরে ও বাঙালি জাতি,,
তোরা অদ্ভূদ বটে
লাঙ্গল দিয়ে যুদ্ধ করে,,
অন্ত্র দিলি হটে!!”

যাই হোক সেই ইতিহাস বর্ণনা করতে চাই না। বলতে চাই বর্তমানকে নিয়ে আর স্বপ্ন দেখতে চাই ভবিষ্যৎকে নিয়ে। দেখুন তবে আমাদের স্বপ্নটাকে।

২০১৮ সালের ১৬ই মার্চ জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির [সিপিডি] এক বৈঠকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রদান করেন। কিন্তু আমি মোটেও খুশি না। বর্তমান সময়ের তরুন হিসেবে আমি যে স্বপ্ন দেখি তা হলো সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশের। যে স্বপ্ন দেখেছিল আমাদের আদর্শ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। আমরা তরুনরা যদি প্রত্যেকে এক একটি ছোট্ট বঙ্গবন্ধু হতে পারি তবে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে খুব বেশি সময় লাগার কথা নয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো-কীভাবে গড়বো সেই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ? আমি তন্ন তন্ন করে খুঁজেছি সেই প্রশ্নের উত্তর। দেখেছি সেই পথ কতটা দুর্গম। আর ঠিক তখনই আমার মনে পরে যায় প্রবীনদের প্রবাদ-“বলা সহজ করা কঠিন”। কিন্তু আমিতো প্রবীনের বিপরীত। আমি নবীব!! তবে অবশ্যই প্রবাদটাও আমার ক্ষেত্রে বিপরীত। তাহলে প্রবাদটা কি দাড়ালো-“বলাই কঠিন কিন্তু করা সত্যিই সহজ!!” প্রবাদটা দেখে চমকাবার কিছু নেই। যদি সেই প্রবীনদের প্রবাদের যুগে পরে থাকি তবে আমার স্বপ্ন পূরণ হবে কীভাবে? আমরা করে দেখাবো আমরা কত সহজে সমৃদ্ধের বাংলা গড়তে পারি। আসুন তবে, বলছি কীভাবে গড়বো আমাদের স্বপ্নের সমৃদ্ধের বাংলাদেশ।
প্রথমেই খুঁজেছি কারা আমাদের পথের কাঁটা। অর্থাৎ কাদের পথ থেকে সরাতে পারলে আমাদের সমৃদ্ধের পথ চলা সহজ হবে। একে একে খুঁজে বের করেছি সবকটা কাঁটাকে। মাদক,সন্ত্রাস,জঙ্গীবাদ, দূর্নীতি,বাল্যবিবাহ,বিশৃঙ্খলা,হিংসা,
অসংস্কৃতি ইত্যাদি আমাদের বড় বাধা। যদি আমরা এইসব অপকর্ম থেকে নিজেদের আলাদা করতে পারি তবে আমাদের পথ চলা হবে সুগম। যদি আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করি তবে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হব আমরা। আর আমি দেখেছি একজন দেশপ্রেমিক  দেশের ক্ষতি হোক এমন কিছু কখনও চায় না। তারা কখনও মাদক স্পর্শ করতে পারে না,সন্ত্রাসী করতে পারে না, দূর্নীতি নামক রোগে আক্রান্ত হতে পারে না,দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারে না কিংবা অপসংস্কৃতির বেড়াজালে আবদ্ধ হতে পারে না । তারা নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই দেশের তরে। আর যদি আমরা বর্তমান তরুন সমাজ সকলেই সেই আদর্শ দেশপ্রেমিক হতে পারি তবে নিজেকে ছোট বড় সকল অপকর্ম থেকে  সুরক্ষিত রাখতে পারবো। তবেই আমরা পৌঁছাবো আমাদের মূল গন্তব্যে। আমরা সকলেই একজন আদর্শ দেশপ্রেমিক হয়ে গড়তে চাই আগামী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। এটাই আমার এবং আমাদের তরুনদের স্বপ্ন। তাই আমরা বর্তমান তরুন সমাজ একেকজন  আদর্শ দেশপ্রেমিক হয়ে হাতে হাত রেখে বলতে চাই-“আমরা তরুন,বীরের বেশে
সব বাধাকে দিয়ে রুখে,, গড়বো মোরা সোনার দেশ  সমৃদ্ধ বাংলাদেশ”

সর্বশেষ সংবাদ