কালাই পৌরসভাসহ দুই ইউনিয়নের সংযোগ সড়কের বেহাল দশা

কালাই(জয়পুরহাট)প্রতিনিধি:জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভাসহ উপজেলার পুনট ও উদয়পুর ইউনিয়নের কালাই সিনেমা হল-গঙ্গাদাসপুর এবং নান্দাইলদিঘী-তালোড়া বাইগুনি সংযোগ সড়কটির ধীর গতির কারণে এবং এক বছর থেকে মাটি কেটে রাখায় এলাকার ১২ গ্রামের ১৮ হাজার মানুষের জীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ।
অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে, ৬৫ লাখ ৩ হাজার ৭৩৭ টাকায় ব্যয়ে উপজেলার কালাই সিনেমা হল-গঙ্গাদাসপুর এবং নান্দাইলদিঘী-তালোড়া বাইগুনি পর্যন্ত সড়কের পাকা করণ কাজের ধীর গতির জন্যে এ রাস্তার উভয় পাশে বসবাসকারী বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ চরম দুর্ভোগে শিকার হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ মে এ রাস্তার পাকা করণ কাজের উদ্বোধন করেন আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি। কিন্তুএ রাস্তার পাকা করণ কাজের ধীর গতির জন্য এলাকার কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ী, চাকুরিজীবী, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের চলাচল ও কৃষিপণ্য বাজারজাত করণে নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
উপজেলার তালোড়া বাইগুনির চার মাথার আলু ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন ও বুলবুল ইসলামের জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রায় এক বছর ধরে এ রাস্তার মাটি কেটে রেখেছে। কাজ করছে ধীর গতিতে। বেহাল এ রাস্তায় ট্রাক, ভ্যান, পিকআপসহ কোন যানবাহনই চলাচল করতে পারেনা। পরিবহণ সমস্যায় বিপাকে পড়তে হয়। তাই ধান, আলুসহ অন্যান্য শস্য ও শাক-সবজি ন্যায্য মূলে ক্রয় করা যায়না।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাস্তার কাজে নানা অনিয়ম চলছে। খোয়া ও বালি সঠিক অনুপাতে দেয়া হচ্ছেনা। তাছাড়া দীর্ঘ দিন থেকে রাস্তার মাটি কেটে নালার মত করে রাখা হয়েছে। কাজও চলছে ধীরে। এতে কালাই পৌরসভার আঁওড়া ও কালিমোহর মহল্লা, পুনট ইউনিয়নের মোহাইল, উৎরাইল, গোহারা, নান্দাইলদিঘী, লখইর, চকমুরলি, তালোড়া বাইগুনি, ধুনট ও বিনইলসহ ১২ গ্রামের অন্তত ১৮ হাজার মানুষ ঠিকাদারের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। তারা দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের দাবি জানান।
কালাই পৌরসভার আঁওড়া মহল্লার কায়দে আযম জানান, তিনি তালোড়া বাইগুনি মাঠে চার বিঘা জমিতে আলু চাষ করে সড়কের দুরবস্থার জন্য তার উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে। মাঠ থেকে আলু বাড়িতে আনতে দেড় দু’ হাজার টাকা খরচ হওয়ার কথা । সেখানে তার খরচ হয়েছে ১১ হাজার টাকা ।
চকমুরুলি গ্রামর ভ্যান চালক আমজাদ জানান, রাস্তার মাটি কেটে গর্ত করে রাখায় ১০ মাস ধরে তিনি ভ্যান চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগে আছেন।
আনীত অভিযোগগুলো অস্বীকার করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধীকারী নজরুল ইসলাম জানান, কাজ শুরুর কিছু দিন পর বরাদ্দ বন্ধ থাকায় পাকা করণ কাজের গতি কমেছিল। এখন দ্রুত কাজ চলছে। অল্প দিনের মধ্যেই শেষ হবে।
উপজেলা সহকারি প্রকৌশলী মামুন জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির জন্য পাকা করণ কাজে দফায় দফায় সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
কালাই উপজলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম জানান, এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত কাজ সমাপ্ত করার জন্য তাগাদা দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ