তাড়াশে বাঁশের সেতু যখন চলাচলের একমাত্র ভরসা

এ,এইচ,খোকন চলনবিল প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়ন বর্তমানে আধুনিকতার ছোয়া থেকে বঞ্চিত। এই ইউপি’র প্রায় ২২হাজার লোকের যাতাযাতের একমাত্র ভরসা এই বাঁশের সাঁকো। আধুনিকতার যুগে স্বাধীনতার ৪৪বছর পার হলেও সগুনা ইউনিয়নের ধামাইচ বাজার ঘেঁসে বয়ে চলা  গুমানী  নদীর উপর দিয়ে পারাপারের জন্য একটি ব্রীজের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো ও নৌকা দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে ৷
বর্ষা কালে নৌকায় নদী পারাপার হলেও পানি কমার সাথে সাথে বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়ায়। তাড়াশ উপজেলার সদর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দক্ষিন-পশ্চিমে নদী আর বিল বেষ্টিত অবহেলিত ধামাইচ বাজার । বছরের বেশি সময় ধরে বন্যার পানি চারিদিকে থৈ থৈ করে। পারিবারিক প্রয়োজনে তখন যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নৌকা। কিন্তু শুস্ক মৌসুমের শুরুতেই বিলের পানি কমতে থাকায় পানি-কাঁদার মধ্যে পায়ে হেঁটেই উপজেলার সদরসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রয়োজনের তাগিদে নদী পার হয়ে যেতে হয়। নাব্যতা সংকটের কারণে নৌকা চলাচল বন্ধ থাকায় নদী পারাপারের জন্য একটি বাঁশের সাঁকোর উপরই ভরসা করতে হয়। যানবাহন চলাচলের উপযোগী সরাসরি কোন পথ না থাকায় উপজেলার সবচেয়ে বেশি ইরি ধান উৎপাদন এলাকা হিসেবে পরিচিত এই ইউপি। এখানকার কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত কৃষি পন্য সামগ্রী বাজারজাত করতে না পারায় নায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হন।
এলাকাবাসিরা দীর্ঘদিন যাবৎ এখানে একটি ব্রীজ নির্মানের দাবি জানিয়ে আসছে।  হেমনগর গ্রামের প্রবীণ শিক্ষক মোঃ আঃ বাকী মাষ্টার জানান, ঝড়-বৃষ্টি বন্যার সময় অনেক কষ্ট করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা কিংবা এই বাঁশের সাঁকোতে পাড় হয়ে স্কুলে আসতে হয় শিক্ষার্থীদের। তাই এখানে একটি ব্রীজ নির্মান করা হলে এই সকল ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসি উপকৃত হবে ৷

সর্বশেষ সংবাদ