সন্ত্রাস ও মাদক প্রতিরোধে রোহিঙ্গা শিবিরে পুলিশের প্রচারণা

ইয়াবা বেচাকেনা, বহন, সেবন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে রোহিঙ্গাদের বিরত রাখতে কক্সবাজারের টেকনাফের শরণার্থী শিবিরগুলোতে প্রচারণা শুরু করেছে পুলিশ।

শনিবার দুপুরে টেকনাফের নয়াপড়া রোহিঙ্গা শিবিরে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাসের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল এই প্রচারণা শুরু করে।

এতে রোহিঙ্গা শিবিরের চেয়ারম্যান, মাঝি, ইমাম, শিক্ষক ও ক্যাম্পের বাসিন্দারা অংশ নেন।

প্রচারণার সময় ওসি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অভিযান পরিচালনার পর থেকে স্থানীয়দের ইয়াবা ব্যবসা অনেকটা কমে গেছে। কিন্তু সম্প্রতি রোহিঙ্গারা ইয়াবা পাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। রোহিঙ্গাদের মাদক থেকে দূরে রাখতে ক্যাম্পে ক্যাম্পে সন্ত্রাস, অপহরণ ও মাদকবিরোধী সভা পরিচালনা করছে সরকার।

তিনি বলেন, এর মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের মাদক ব্যবসা, সেবন, চোরাচালন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধ রোধে সচেতন করা হচ্ছে। পাশাপাশি মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদেরকে যেসব স্থানীয় লোকজন আশ্রয় দিয়েছে, তাদের সঙ্গে সু-সর্ম্পক বজার রাখতে বলা হয়েছে।

অপকর্মের সঙ্গে জড়িত রোহিঙ্গাদের তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়ে প্রদীপ কুমার দাস বলেন, ‘কোন অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবেনা। ফলে সময় থাকতে সবাই ভাল হয়ে যান, অন্যথায় কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে। সরকার রোহিঙ্গা শিবিরে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা মেনে নেবে না। যে কোনও কিছুর বিনিময়ে রোহিঙ্গা শিবিরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা হবে এবং যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যাকারিদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের আত্তায় আনার চেষ্ট চলছে। ’

সম্প্রতি ‘রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের’ গুলিতে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক নিহত হন। এ হত্যার ঘটনার পর থেকে স্থানীয় ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে স্থানীয়রা জানান।

সর্বশেষ সংবাদ