সরকার হারালো ছয় লাখ টাকা রাজস্ব! কালাইয়ে ২২ লাখ টাকার দিঘী ১৬ লাখ টাকায় ইজারা

কালাই(জয়পুরহাট)প্রতিনিধি:ইজারা নিয়ম উপেক্ষা করে জয়পুরহাটের কালাইয়ে ২২ লাখ টাকার কুজাইলদিঘী (জলমহাল) ১৬ লাখ টাকায় ইজারা দেয়ায় সরকার হারালো অন্তত ছয় লাখ টাকা রাজস্ব।
ইজারায় অংশ নেয়া মৎস্যজীবী সমিতির সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কালাই উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি নানান অজুহাতে সর্বোচ্চ দরদাতাদের বাদ দিয়ে প্রায় ছয় লাখ টাকা কমে তৃতীয় দরদাতাকে কুজাইলদিঘী ইজারা দিয়েছেন। ফলে, জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার কুজাইল মৌজার ৬২৬ দাগে অবস্থিত ১৯ একর ৮৩ শতক আয়তনের কুজাইলদিঘীটি বাংলা ১৪২৪ থেকে ১৪২৬ সন পর্যন্ত ৩ বছর মেয়াদে ইজারা দেয়া হয়। দরপত্রে সিডিউলের মাধ্যমে ‘পশ্চিম কুজাইল মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ’ ২১ লাখ ৭০ হাজার ৫শ’ টাকা, ‘কালাই পূর্বপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ’ ২১ লাখ ১শ’ টাকা, ‘পুনট পূর্ব মালিপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ’ ১৬ লাখ ৫১ হাজার টাকা এবং ‘দুরঞ্জ মধ্যপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ’ ১৫ লাখ ২০ হাজার টাকা দর দাখিল করে প্রথম থেকে চতুর্থ দরদাতা বিবেচিত হয়। কিন্তু বিভিন্ন অজুহাতে কালাই উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি ইজারা নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে প্রথম ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতাকে বাদ দিয়ে তৃতীয় দরদাতাকে ১৬ লাখ ৫১ হাজার টাকায় দীঘিটি ইজারা দেয়া হয়। এতে বঞ্চিত হলো সর্বোচ্চ দরদাতারা, সরকার হারালো প্রায় ছয় লাখ টাকা রাজস্ব ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালাই উপজেলার প্রথম শ্রেণির এক কর্মকর্তা জানান, ইজারার নিয়ম অনুযায়ী সর্বোচ্চ দরদাতা ইজারা পাওয়ার কথা। কোন কারণে সর্বোচ্চ দরদাতা অযোগ্য বিবেচিত হলে, দাখিলকৃত সর্বোচ্চ দরে পর্যায়ক্রমে নি¤œ দরদাতাদের ইজারা নেয়ার প্রস্তাব দিতে হয়। তাতেও ব্যর্থ হলে জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি পুনঃদরপত্র আহ্বান করবেন।
কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির আহবায়ক মো. আফাজ উদ্দিন জানান, সর্বোচ্চ দরদাতা ছিল ডিফোলডার আর দ্বিতীয় দরদাতার বিডি দেয়া ছিল কম। তাই তৃতীয় দরদাতাকে তার দেয়া দরেই পুকুর ইজারা দেয়া হয়েছে।
জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মোকাম্মেল হক বলেন, কালাই জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির ইজারা সংক্রান্ত বিষয়ে কোন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সর্বশেষ সংবাদ