ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাকে গলাকেটে হত্যা করে মেয়ে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাঁনতারা বেগম (৪২) আত্মহত্যা করেননি তার নিজের মেয়ে তানিয়া আক্তার (১৬) বটি দিয়ে হত্যা করেছে পরে মা আত্মহত্যা করেছে বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে মেয়ে গত শনিবার সকালে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রাম থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে

সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান।

তিনি জানান, প্রায় ১৮বছর আগে নবীনগর উপজেলার সেমন্তঘরের খলিল মিয়ার সাথে বিয়ে হয় চানতাঁরা বেগমের। সেখানে তাদের কোন বসতি না থাকায় তারা সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের বিরামপুরে ঘর তুলে বসবাস করেন। তাদের সংসারে হাসান (১৪), আবু সাঈদ (৮) নামের দুই ছেলে ও তানিয়া আক্তার (১৬) নামের এক মেয়ে ছিল। গত দুই বছর আগে হাসান হারিয়ে যায়৷ এরপর থেকে চাঁনতারা বেগম মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

পুলিশ সুপার বলেন, গত ২ নভেম্বর ভোরে খলিল মিয়া ফজর নামাজ পড়তে যায়৷ এসময় মেয়ে তানিয়া ঘুম থেকে জেগে দেখেন মা চাঁনতারা বেগম ঘর থেকে বের হচ্ছে। পরে মাকে টেনে ঘরে নিয়ে আসে তানিয়া। এ সময় বটি নিয়ে মা বলেন’ নে আমারে মাইরালা’ তখন তানিয়া রেগে গিয়ে বটি দিয়ে নিয়ে মায়ের গলায় টান দিয়ে হত্যা করে। পরে তার মা আত্মহত্যা করেছে বলে জানায় সে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, হত্যাকাণ্ডের পর চাঁনতারা বেগমের ভাই মো. জাকির হোসেন সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনার তদন্তে পুলিশ তানিয়া আক্তারকে আটক করলে সে পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করে। গত রবিবার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাহিদ হোসাইনের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আলমগীর হোসেন, ডিআইও-১ ইমতিয়াজ আহমেদ, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহম্মদ সেলিম উদ্দিন, পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান।

সর্বশেষ সংবাদ