নাগেশ্বরী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা আনিয়মের অভিযোগ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার অধিকারী বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও নিয়মিত অফিসে উপস্থিত না থাকার অভিযোগ উঠেছে । খোজ নিয়ে জানা যায়,উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার অধিকারী সপ্তাহে ২/৩ দিন অফিসে উপস্থিত হয়ে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও মৌখিক তাগিদ দিয়ে আসছে । খোজ নিয়ে জানা যায় উপজেলা শিক্ষা কর্মর্তার বাড়ী পার্শ্ববর্তী জেলা লালমনিরহাটে হওয়ায় সপ্তাহে ২/৩ দিন আসলেও দুপুর ১২ টার দিকে অফিসে এসে বিকেল তিন টায় নিজ বাড়িতে চলে যায় । এ সুযোগ কে পুঁজি করে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোবাশ্বের আলী ও আবুল কালাম আজাদ নিয়মিত অফিসে উপস্থিত থাকছেন না বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। ফলে উক্ত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা দ্বয়ের দ্বায়িত্বে থাকা করোনা কালিন সময়ে স্লিপের বরাদ্দের কাজে প্রায় স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা নাম মাত্র কাজ করে সমুদয় অর্থ ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন বলে অভিযোক উঠেছে ।,সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ভৈসতুলি‌ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দ্বায়িত্বে ) মাজেদা খাতুন ক্ষুদ্র মেরামতের স্লিপের কাজ সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোবাশ্বের আলীর সঙ্গে আঁতাত করে নাম মাএ করেছে । এ বিষয় মাজেদা খাতুনের সঙ্গে কথা বললে তিনি সাংবাদিকদের পরিচয় নিয়ে তার লোক জন দিয়ে সাংবাদিককে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ দেন । মোবাশ্বের আলীর অধীনস্থ স্কুলের বেশ কিছু শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান , স্যার অফিসে সপ্তাহে ২/৩ দিন আসেন । কোন কাগজে স্বাক্ষর নিতে হলে খোজ নিয়ে অফিসে গিয়ে স্বাক্ষর নেই । স্যার ফোন কম রিসিভ করেন । একই অভিযোগ উঠেছে কুটি নাওডাংগা মন্ডল পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মল্লিকা খাতুনের বিরুদ্ধে ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ ( জুনিয়র ) এর বিরুদ্ধে । এদিকে গত ৩১ ডিসেম্বর একদল সাংবাদিক বেরুবাড়ী বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে এলাকা বাসীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে ওই বিদ্যালয়ে করোনা কালীন সময়ে কোনো কাজ হয়নি । সাংবাদিকরা প্রধান শিক্ষক তাহেরা খাতুনকে ফোন করলে প্রধান শিক্ষক অকপটে স্বীকার করেন, ভাই এখনও কাজ করিনি । স্লিপের টাকা তুলে একাউন্টে রাখা আছে । ২/৩ দিনের মধ্যে কাজ শুরু করবো । আমার নিজের ভাই একজন সাংবাদিক । তাই আপনারা লেখলেও আমার কিছু যায় আসেনা । ওই প্রতিষ্ঠানের দ্বায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ ( সিনিয়র ) এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের সামনেই প্রধান শিক্ষককে জরুরি ভাবে কাজ সমাপ্ত করার তাগিদ দেন । এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার অধিকারীর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি ।

সর্বশেষ সংবাদ