পাঁচ কোটি টাকার প্রকল্পে নয়ছয় মুন্ডুমালা পৌরসভায় জলবায়ু প্রকল্পের কাজে ধীর গতি

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা পৌর সভার জলবায়ু প্রকল্পের কাজে ধীর গতি ও নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। ধীর গতির ফলে একদিকে বাড়ছে ব্যয় অন্যদিকে বাড়ছে নাগরিকগণের দুর্ভোগ। আর সংশ্লিষ্ট বিভাগের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারি, মেয়র ও ঠিকাদারের পকেট ভারি হচ্ছে প্রশ্ন উঠেছে প্রকল্পের কাজের স্বচ্ছতা নিয়ে। প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন নাই তবে বাস্তবায়ন নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসন ও পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্প জলবায়ু পরিবর্তন জনিত প্রভাব মোকাবেলার জন্য এসব কাজ করা হচ্ছে। কিšত্ত মেয়র তাঁর অনুড়ত সাইদুর রহমানের মাধ্যমে নামমাত্র প্রকল্পের কাজ করে পুরো অর্থ তছরুপ করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তানোরের মুন্ডুমালা পৌরসভায় চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মুন্ডুমালা পৌর সভায় প্রায় ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে । জলবায়ু পরিবর্তন ট্রার্স্ট ফান্ডের অর্থায়নে প্রকল্পটির কাজ চলছে ৬ টি প্যাকেজে । প্রথম দু’টি প্যাকেজে রয়েছে পুকুরের পাড় সংরক্ষণ ও পরবর্তী চারটি প্যাকেজ জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন। প্রায় ৫ কোটি টাকার জলাবদ্ধতা নিরসন ও পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে ধীর গতিতে। অথচ ভরা বর্ষার পানি নিস্কাসনে তেমন কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় মুন্ডমালা হাটের সিংহভাগ জায়গা চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। আবার যেসব পুকুরের প্রক্টেকশান ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলো অত্যন্ত নিম্নমাণের তাছাড়া ভেঙ্গে পড়ার ভয়ে মাটি ভরাট করা হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মুন্ডুমালা হাটের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, পৌর সভার রাজস্ব আদায়ের অন্যতম উৎস্য মুন্ডুমালা হাট প্রতি বছর প্রায় ৯০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়। কিšত্ত ইজারা প্রায় ৪০ শতাংশ টাকা হাটের উন্নয়নে ব্যয় করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও সেটি মানা হচ্ছে না এমনকি প্রায় ৭ বছর ধরে একটি টাকাও হাটের উন্নয়নে ব্যয় করা হয়নি। তারা আরো বলেন, জলবায়ু প্রকল্পের কাজে অনিয়ম-দূর্নীতি ও ধীর গতির কারণে তা নাগরিকদের কাছে বিড়ম্বনা হয়ে উঠেছে। সরেজমিন প্রকল্প পরিদর্শন করা হলে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে বলে এলাকাবাসির দাবি।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মুন্ডুমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানি বলেন এই প্রকল্পের প্রায় ৪০ ভাগ কাজ ইতি মধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে, প্রকল্পের প্রায় এক কোটি ৮৪ লাখ ৩৪ টাকা ব্যয়ে ২৫ টি পুকুরের পাড় সংরক্ষণ কাজ শেষ হয়েছে । তিনি বলেন, বন ও পরিবেশ মন্ত্রালয় থেকে প্রকল্পের টাকা এখানো পৌর সভায় আসেনি বলে জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ শুরু করতে পারিনি, তবে প্রকল্পের ছাড়পত্র পেয়েছি এবং প্রস্তুত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান । তিনি বলেন, প্রকল্পের টাকা আসা মাত্রই বাঁকি কাজ খুব দ্রুত শুরু করা হবে।

সর্বশেষ সংবাদ